নতুন ৭ জনসহ মোট প্রাণহনি ১৫২ জনের। মৃত ৭ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ১ জন নারী। মৃতদের মধ্যে ঢাকায় ৫ জন ঢাকার বাইরের ২ জন। নতুন সুস্থ হয়েছেন ৯ জন, মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩১ জন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে সোমবার (২৭ এপ্রিল) এ তথ্য জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ১৯২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে তিন হাজার ৮১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ হাজার ৪০১টি। নতুন যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে আরও ৪৯৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯১৩ জনে।
তিনি আরও জানান, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও সাতজন, এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫২ জনে। নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের ছয়জন পুরুষ ও একজন নারী। পাঁচজন রাজধানী ঢাকার, একজন সিলেট ও একজন রাজশাহীর বাসিন্দা। পাঁচজনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১০ বছরের নিচে একজন শিশু মৃত্যুবরণ করেছে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, সাতক্ষীরা ও নাটোর ছাড়া বাকি ৬০ জেলায় করোনা রোগী পাওয়া গেছে। এছাড়া ঢাকার মিরপুর, উত্তরা, মহাখালি,রাজারবাগ যাত্রীবাড়িসহ ১০টি এলাকা বেশি করোনা সংক্রমিত।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।