বিশেষ প্রতিনিধি (যশোর) : নওয়াপাড়া বাজারে নতুন বছর নতুন মোড়কে বিএসটিআই অনুমোদনহীন ভেজাল ও নিম্ন মানের চা’পাতায় সয়লাব হয়েগেছে। যে চা’পাতার চা পান করে প্রতিনিয়িত অসুস্থ ও প্রতারিত হচ্ছে জনগণ। কোন কোন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিশেষ নিজ নামে ও বেনামের চা পাতা স্বল্পমূল্যে সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ সকল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহন না করায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা।
নাম, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ বিহীন, এমনকি বিএসটিআই অনুমোদনহীন এ চা পাতা দামে কম হওয়ায় চায়ের দোকানীরা লুফে নিচ্ছে অধিক মুনাফার আসায়। ফলে সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব এবং চরম ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে বিভিন্ন দেশিয় কোম্পানির স্থানীয় চায়ের ডিলাররা। নওয়াপাড়া বাজারের এইচ আর সি, লিপটন, ইস্পাহানি সহ সরকার অনুমোদিত একাধিক কোম্পানির চায়ের ডিলার রয়েছে। তাদের অভিযোগ, নওয়াপাড়ার বিভিন্ন বাজার ও চায়ের দোকানে প্রতিদিন এসব নি¤œ মানের ভেজাল চা অল্প দামে সরবরাহ করছে, কর্ণফুলি টি হাউজ, শ্রী দূর্গা ভান্ডার, রুম্পা ষ্টোর, লতা ষ্টোর, নিউ দত্ত সহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তি বিশেষ। এছাড়া ভ্রাম্যমান ভাবে বাজারে চা পাতা সরবরাহ করছেন গৌতম ও তাওহিদ নামের দুই প্রতারক।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে চোরাই পথে আসা নি¤œ মানের এ চা পাতার সাথে মাঝে মধ্যে মৃত ব্যক্তির কফিনে থাকা চা পাতার মিশ্রণ করা হচ্ছে। যার প্রতি কেজির মূল্য ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা। অপরদিকে দেশিয় কোম্পানির চা পাতা এইচআরসি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা, ইস্পাহানি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা, লিপটন ও ফিনলে ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে সরবরাহ করছে ডিলাররা।
ডিলারদের অভিযোগ, সরকারি নিয়ম মেনে সকল প্রকার ট্যাক্স-ভ্যাট দিয়ে তারা ব্যবসা করছেন। অথচ উল্লেখিত ব্যবসায়িরা নিম্ন মানের ভেজাল চা প্রকাশ্যে প্রতিদিন বিভিন্ন চায়ের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করলেও তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছেনা কোন আইনগত ব্যবস্থা। এ পর্যায়ে নিম্ন ও ভেজাল চা পাতা ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে তারা তাদের ডিলারশীপ ব্যবসা ছেড়ে নকল, নিম্ন মান ও ভেজাল চা পাতার ব্যবসা শুরু করবেন বলে হুশিয়ারী প্রদান করেছেন। অপরদিকে চা পানকারী ক্রেতাদের অভিযোগ, একটি লাল চা খেতে গেলে চায়ের দোকানি ৪ থেকে ৫ টাকা নিচ্ছেন। আমরা দেখছিনা কি ধরণের চা পাতি দিয়ে চা পরিবেশন করছে ওই দোকানী। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।