মহেশখালী, কক্সবাজারঃ সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার একটি গ্রামে নিজ বাবার হাতে মেয়ে ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মা মারা যাওয়ার পর এঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আটককৃত অভিযুক্ত ওই বাবার ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে। আট মাস আগে অভিযুক্তের স্ত্রী সন্তান প্রসবের সময় মারা যান। তার বড় মেয়ের বয়স ১৪ বছর। মা মারা যাওয়ার আগে ওই মেয়ের বিয়ে হয় স্থানীয় এক ব্যক্তির সাথে। মা’র মৃত্যু হলে তার বাবা তাকে স্বামীর বাড়িতে যেতে বাধা-নিষেধ করতে থাকে। মেয়ের জামাইকেও স্ত্রীর সাথে ঘর সংসার করতে বিরত রাখে। এ সুযোগে ঔরসজাত মেয়েকে নিজের বাড়িতে রেখে দেয় অভিযুক্ত বাবা। পরিবারসহ কক্সবাজার শহরে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে রাতে বোর্ডিঙয়ে ওই মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন মিলন করে। কক্সবাজার থেকে বাড়িতে ফিরে এসে মেয়েটি স্থানীয় লোকজন ও প্রতিবেশী নারীদেরকে বিষয়টি জানায়।
আরও জানা যায়, প্রতিবেশী লোকজন ওই অভিযুক্ত বাবাকে দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু ওই বাবা নানা অজুহাতে বিয়ে থেকে বিরত থাকে। মেয়েকে বুকে চুরি ধরে, ভয় দেখিয়ে নিয়মিত যৌন নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতিত মেয়ে জানায়, তাকে কখনো পানের বরজে, কখনো গরুর গোয়াল ঘরে, কখনো বাড়িতে ধর্ষণ করে, সে আরো জানায়, প্রায় দেড় মাস আগে তার একটি মেয়ে সন্তান জন্ম হয়। লালন পালন ও ভরণ পোষণের অভাবে ওই মেয়েকে স্থানীয় কেরুনতলীতে দত্তক দেয়। ঘটনারদিন রাতে পূর্বের ন্যায় শারীরিক নির্যাতনে চিৎকার করলে এলাকার লোকজন তাকে আটক করে স্থানীয় মেম্বারের কাছে হাজির করে। মহেশখালী থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিত মেয়ে সহ তার বাবাকে থানায় নিয়ে আসে।
এব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি জানান, জন্মদাতা বাবা কর্তৃক ঔরসজাত মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন সহ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হচ্ছে।