নিরাপত্তা সড়কের জন্য ১১১টি সুপারিশ

প্রকাশঃ ২০১৯-০৩-২৪ - ১৬:১২

ঢাকা অফিস : সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যে, প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে ‘রোড সেফটি সেল’ গঠণের প্রস্তাবসহ ১১১টি সুপারিশসহ খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এতে চলমান কিছু সুপারিশ বাদে তিন মেয়াদে সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। আগামী ৪ঠা এপ্রিলের মধ্যে এই প্রতিবেদনের খসড়া চূড়ান্ত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে।

গেল জুলাই মাসে বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর শুরু হয় নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। নতুন করে সামনে আসে পরিবহণ খাতের বিভিন্ন স্তরে বিরাজমান বিশৃঙ্খলার বিষয়গুলো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি পরিবহণ মালিক, শ্রমিক, পুলিশ, গবেষক ও বিআরটিএসহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে ১৫ সদস্যের কমিটি করা হয়। পরে তা বাড়িয়ে ২২ জনের কমিটি করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা ও ২০১১ সালে গঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সুপারিশগুলোও আমলে নিয়েছে এই কমিটি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে ভিত্তি করে দীর্ঘ মেয়াদী কি কি পরিকল্পনা করা যায়, সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা একটা খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করছি। আমরা এই প্রতিবেদনে সময়টাকে নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করে দিচ্ছি, যাতে করে বাস্তবায়ন কমিটির কাছে একটি বেঞ্চ মার্ক থাকে যে কতদিনের মধ্যে এটি শেষ করতে হবে।’

সড়ক নিরাপত্তায় জোর দেয়া, অবকাঠামো উন্নয়ন, দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া, জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি, প্রশিক্ষিত চালক তৈরি, চালকদের সচেতনতা বাড়ানোর মত নানা বিষয় থাকছে সুপারিশমালায়। সুপারিশ বাস্তবায়নে মেয়াদের ভিত্তিতে তিনভাগে সাজানো হয়েছে প্রতিবেদন।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে উনার দপ্তরের সিনিয়র কাউকে দিয়ে একটি কমিটি গঠন করা উচিত। কারণ সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত অনেকগুলো মন্ত্রণালয় আছে, সে মন্ত্রণালয় গুলো একসাথে কাজ করলে কাজে সামঞ্জস্য থাকে না। এছাড়া যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণেও জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়।

সড়ক দুর্ঘটনার জের ধরে কমিটি গঠন এবং সেসব কমিটির অনেক সুপারিশ জমা পড়েছে আগে। সেগুলোর কোনটিই বাস্তবায়ন হয়নি। এই কমিটির সুপারিশ কি বাস্তবায়ন হবে?

সড়কে শৃঙ্খলার সুপারিশ কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেন, ‘আমরা একটি ভালো সুপারিশ দিব। আমাদের বক্তব্য হবে শুধু সুপারিশ দেয়া নয়, এটি বাস্তবায়ন করাও। এছাড়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একাধিক টাস্কফোর্সও তৈরি করে দিব।’

কমিটির সদস্যরা বলছেন, সবগুলো সুপারিশই বাস্তবায়ন সম্ভব এবং তাতেই সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে।