ঢাকা অফিস : নুসরাত হত্যার ঘটনায় জড়িত কারো রাজনৈতিক পরিচয় দেখা হবে না বলে জানিয়েছে, তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। সংস্থাটির প্রধান জানান, ঘটনায় জড়িত সবাইকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এদিকে, জবানবন্দিতে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনের নাম আসলেও ওই মুহূর্তের কোনো কথা তার মনে নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
নুসরাত হত্যা মামলার তদন্তে প্রতিদিনই বের হয়ে আসছে নতুন নতুন তথ্য। ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগসহ তাতে সেখানকার বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার ইন্ধন ও সহযোগিতার তথ্যও পাওয়া গেছে।
এরইমধ্যে ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমকে। তবে, মূল দুই আসামির জবানবন্দিতে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনের নাম আসায় তিনিও এখন আলোচনায়।
জবানবন্দিতে শামিম ও নূর উদ্দিন জানিয়েছে, নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর শামিম একটি রবি নাম্বার থেকে রুহুল আমিনকে ফোন করে বিস্তারিত জানান। তিনি বিষয়টি অবগত উল্লেখ করে তাদের পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া, অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করতেও নির্দেশ দিয়েছেলেন তিনি। যদিও রুহুল আমিন বলছেন, শামিমের সাথে তার কি কথা হয়েছিল তা মনে নেই।
সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, ‘শামিমের সাথে আমার কি কথা হয়েছে স্মরণ নেই। আমি তো জানি না কি ঘটনা ঘটেছে। আমি বলছি আমি দেখছি। সেখানে পরীক্ষা চলছে। ১৪৪ ধারা চলছে। আমি আমার অফিসে বসা।’
এদিকে, পিবিআই বলছে, ওই ঘটনায় স্থানীয় বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতার তথ্য রয়েছে তাদের কাছে। পিবিআই’র ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘আমরা যেটা তদন্ত করছি সেটা হলো, শুরু থেকে এ ঘটনায় কে কে জড়িত। মামলার তদন্তে যার নাম বেরিয়ে আসবে সে যতই ক্ষমতাধর হোক এবং রাজনীতির সাথে জড়িত থাকুক, তাকে ক্ষমা করার সুযোগ নেই।’
৬ই এপ্রিল পরীক্ষা দিতে গেলে নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঁচদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মানে প্রতিবাদী এই শিক্ষার্থী।