পলাশবাড়ীতে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে এমপি সমর্থিত আলীগ নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা সাংবাদিকসহ আহত – ১০
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ টাকা ছাড়া মেলে না বিধবা বা বয়স্কভাতাসহ বিভিন্ন সেবা মুলক ভাতার কার্ড ধর্ণা দিতে দিতে যার সামথ্য আছে সে কিনে নেন আর যার অর্থ দেবের সামর্থ্য থাকে না সে চিরকাল বঞ্চিত হয়ে থাকে। এর পিছনে মূল কারণ উপজেলা হতে বন্টন প্রক্রিয়াই সব চেয়ে বড় দায়ী এসব কমিটির অঘোষিত বা অলিখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাগ করা হয় কয়েকটি যা ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌছে ১৩ জন সদস্যকে ভাগ করে দিলে পরে ৩ টি হতে ৪ টি যা নিজের আশে পাশের লোক গুলোকে দিতে শেষ হয় ওয়ার্ডে অন্যান্য মানুষ গুলো নিরুপায় শেষ হলে পাবে কোথায় ইউপি সদস্যরা। এভাবে বছরের পর বছর অলিখিত ভাবে ভাগ বাটোয়ারা চলে আসছে আর এ সুযোগে নিজের ভাগের অংশ নানা প্রক্রিয়া অন্যের মাধ্যমে বিক্রি করা হয় নানা কৌশলে। এভাবে বিশেষ উপায়ে সুবিধাভোগীরা সুবিধা ভোগ করার স্বার্থে স্বীকার করেনা অর্থ দেওয়ার কথা আর বঞ্চিতরা যদি বলে অর্থ অভাবে পায়নি কোন সুবিধা তবে লুটেরার দল বলে এসব সাজানো মিথ্যা কথা । গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা এ উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ১ টি পৌরসভা স্বাধীনতার পর বার বার উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে এই উপজেলাটি। বর্তমান সময়ে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর উপজেলাটিতে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে । উপজেলার অনেক অবহেলিত রাস্তা ঘাট আজ পাকা করা হয়েছে এছাড়াও নানা মুখী উন্নয়ন হয়েছে আরো চলমান রয়েছে। এসব উন্নয়ন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে সম্পদনা হলেও বর্তমান সময়ে এসে তা থমকে দাড়িয়েছে সকল অনিয়ম ও দূর্নীতির পথে বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছেন বর্তমান নব নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। তিনি সার্বক্ষনিক নিজ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখছেন । অতিতের সকল রের্কড ভেঙ্গে বর্তমান নির্বাচিত এমপির সাথে সহসাই যোগাযোগ করতে পারে জানাতে পারে নিজ এলাকার উন্নয়নের কথা ,র্দূভোগের কথা, চলমান সমস্যার কথা এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য । এসব অভাব অভিযোগ শুনে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় এক মাসের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছেন । আর তার জনপ্রিয়তা দেখে, জনতার সাথে এলাকার একজন সর্বোচ্চ জনপ্রতিনিধির বন্ধন দেখে আজ লুটেরা হতভম্ব হয়ে পড়েছে কখন কি করছে আর বলছে নিজেরাও বুঝছেনা। আজ তারা লুটের পথে কাটা পড়ায় উম্মাদ হয়ে পড়েছেন ।
এলাকার জনগণের সাথে নিবির সম্পর্কের কারণে একটি অনিয়মের তথ্য জানতে পারেন এ্যাড. স্মৃতি এমপি। সেটি হলো বিধবা ভাতা ও বয়স্ক ভাতা কার্ড দেওয়ার নাম করে দুস্থ অসহায় মানুষের নিকট থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা আতœসাৎ করেন ৪ নং বরিশাল ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক রওশন আরা বেগম (৫৫)। এদিকে ওই নেত্রী টাকা নিয়ে কার্ড দিতে না পারায় জনৈক্য মুক্তিযোদ্ধা মোবাইল ফোনে বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপিকে অবগত করেন। এরপর সরকারি দলের নেত্রী হয়ে এসব সরকারি সুবিধা দেওয়া নামে মানুষের নিকট টাকা দাবী করা বা গ্রহন করার পিছনের কাদের হাত তা দেখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ২৪ জুন বুধবার এ্যাড.স্মৃতি এমপি তিনি উক্ত অনিয়মকারী মহিলা নেত্রীকে থানায় আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদার রহমান কে নির্দেশ প্রদান করে।সংসদ সদস্যের নির্দেশে পুলিশ ওই নেত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদুৎ ওই নারী নেত্রীর পক্ষ অবলম্বন করে বুধবার মাননীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি কে ও তার স্বামী বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মাহবুবুর রহমানকে মোবাইলে অশ্লীতা মূলক গালমন্দ করেন। আর এখবর দ্রুত পলাশবাড়ীতে ছড়িয়ে পড়লে এমপি সমর্থিত নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হলে বিকেল ৩ টায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও পৌর প্রশাসক আবু বক্কর প্রধান নেতৃত্বে এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক চলাকালে উপজেলা চেয়ারম্যানের ডাকে জামায়াত বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে নিজেদের শক্তির প্রর্দশন করায় এসময় সরকার দলীয় র্দূদিনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। সাময়িক বিশৃংঙ্খলার সৃষ্টি হলে ও চলমান বৈঠকে নারী নেত্রী রওশন আরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। পাশাপাশি এমপির সাথে এমন ঘটনার জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদুৎ ক্ষমা প্রার্থনা করেন।সমঝোতা বৈঠক শেষে বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতির নেতৃত্বে সবাই এক সাথে উপজেলা পরিষদ ত্যাগ করেন। সমঝোতা করার পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদুৎ তার পৌর শহরের হাইস্কুল সংগ্লন্ন বাসায় পৌছার ৫ মিনিট পরেই ধাওয়া খাওয়া নিজ কর্মী ও বিএনপি জামায়াতে কতিপয় নেতাকর্মী সমর্থকরা অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া অতর্কিত ভাবে এমপি সমর্থিত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলা চালায়।
এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু বক্কর প্রধান আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত সংঘবদ্ধ বিএনপি জামায়াত হামলাকারীদের হামলা প্রতিরোধ কল্পে ও উভয় পক্ষে দ্বন্দ থামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদার রহমান কে অনুরোধ জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই বিএনপি জামায়াত ও উপজেলা চেয়ারম্যানের নিজেস্ব বাহীনির হামলায় সাংবাদিকসহ ১০জন আহত হয়। । উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গং এর হামলায় আহতরা হলেন ছাত্রলীগ নেতা নাজিবুর রহমান নয়ন,মিনু শেখ, নাইজুল, লিটন,আব্দুল মান্নান,লেবার শ্রমিক আফসার শেখ ও রাজু । এসময় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের লোকজনের প্রতিহিংসার শিকার হয় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক সিরাজুল রতন। এসময় হামলাকারী সন্ত্রাসীরা তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। অবশেষে সাংবাদিকরাও তাদের প্রতিহত করতে হাতে লাঠি তুলে নিতে বাধ্য হয় । এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।কয়েক মিনিটের মধ্যে রংপর ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদার রহমানের নেতৃত্বে সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌছিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।আহতদের মধ্যে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম রতন, ছাত্রলীগ নেতা নাজিবুর রহমান নয়ন,সহ বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেলক্সে ভর্তি করা হয়েছে।ঘটনার পর থেকে পলাশবাড়ী সদরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করলে বর্তমান পরিস্থিতি থানা পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। থানা সূত্রে আরো জানা যায়, যে কোন ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ।
এমপি কে ও তার স্বামীকে হুমকি ধামকি ও গালিগাল করার বিষয়ে উপজেলা পরিষদ হতে বাহির হয়ে যাওয়ার পথে জানতে চাইলে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বিষয়টি সকলের সামনে এরিয়ে যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকসেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ ।
এবিষয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি বলেন, আমার নির্বাচনী আসনে বিগত সময়ে কে কি করেছে সেটি আমার দেখার বিষয় নয় আমার সময় কালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেওয়া জনগণের সুবিধা কেউ বিক্রি করে খাবে তা আমি হতে দিবো না। আমি নির্বাচনের আগেও বলেছি এখনো বলছি অন্যায় ,অনিয়ম, দূর্নীতিকারী কেউ হোক তার কোন স্থান বা আশ্রয় আমার নিকট হবে না । আমি জানতে পারলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন সহ সকল ধরণের ব্যবস্থা নিবো । বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন আমি নির্বাচিত হয়েছি এলাকার মানুষের ভোটে তাদের কে আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সরকারি সুবিধা ঘরের দোড় গোড়ায় পৌছে দিতে এলাকা উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে। আমি আমার দায়িত্বে যতদিন থাকবো ততদিন এভাবে অন্যায়, অনিয়ম, দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো ইন্নশাআল্লাহ।