গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ৭ নং পবনাপুর ইউনিয়নের মালিয়ানদহ গ্রামের উত্তর পাড়ার তরুণ ছেলেরা নিজ উদ্যোগে করছে রাস্তা মেরামতের কাজ করেছে। বর্ষাকালে চার থেকে পাঁচটা গ্রামের ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষের চলাচলের মেইন রাস্তার বেহাল দশা মেরামত করার মতো কোনো জনপ্রতিনিধি এগিয়ে না আসায়।এ গ্রামের কিছু তরুণ ছেলে উক্ত গ্রামের মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গের নিকট বিষয়টি উপস্থাপন করলেও তারা নির্ভরযোগ্য কথা না বলায় অবশেষে নিজেরা উদ্যোগ গ্রহন করে ।।
প্রজন্ম তরুন সংঘ সামাজিক সংগঠনের সদস্য ফজলে রাব্বি নামে এক তরুণ ছেলে উক্ত গ্রামের উত্তরপাড়া সকল তরুণ ছেলেদের নিয়ে বিষয়টি আলোচনা করলে কালাম ,ইখলাস, ইউসুফ ,আবু সায়ীদ, রাজ্জাক, মাসুদ, মামিদুল ,মাহফুজ ,নাজমুল, আব্দুল, মিলন ,আসাদ ,লাভলু, ইমরান, মামুন ,আরো অনেকেই তার কথাকে প্রাধান্য দিয়ে জনদূভোর্গ রোধে এগিয়ে আসে উক্ত রাস্তার কর্দমা হঠিয়ে বাশ সাড়ি বদ্ধভাবে সাজিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ করে তরুন যুবকরা সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে । ইচ্ছা থাকলে কঠিন কাজ যে সহজ হয় তার প্রমাণ তারা।
এর আগে তারা উক্ত উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গ্রামটির উত্তরপাড়ার জনসাধারণের নিকট একটি করে বাঁশের আবেদন করে এবং বাঁশ সংগ্রহ করে অনেক পরিশ্রম করে ডাব তৈরি করে বেহাল রাস্তা মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে তোলে। উক্ত কাজকে এলাকাবাসী এবং পথযাত্রী তাদের বাহবা দিয়ে ভাল কাজে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করে। সেই সাথে হাজারো পথযাত্রীর অভিযোগ দীর্ঘ ৫৫ বছর যাবত তারা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছে।এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে সকলের সর্বোচ্চ প্রধান চাওয়া তারা এই রাস্তা ঘাটের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেয় এসব দূভোগ দূর করে।
এলাকাবাসী জানান আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য চেয়ারম্যানের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করলে চেয়ারম্যান গ্রামের প্রধান মসজিদে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন কাজ বরাদ্দ আসলে আমি এই গ্রামের রাস্তা কাজ কাজ শুরু করবো ইনশাআল্লাহ। এলাকাবাসীর অভিযোগ সেই প্রতিশ্রুতির বিন্দু পরিমান কাজ বাস্তবায়ন করেনি বলে জানিয়েছেন। তারা আরো বলেন ,রাস্তা নিয়ে আরো কিছু উল্লেখ্যযোগ্য সমস্যার রয়েছে উন্নতির প্রধান বাহন হলো যোগাযোগ ব্যবস্থা আর সেই যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রধান যে রাস্তা তাই যদি অউন্নয়নের ছায়া ঢাকা পড়ে তাহলে গ্রামের জনপদের উন্নয়ন হবে কি করে। এ রাস্তাটি গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য সর্বোচ্চ প্রধান সমস্যা। এসমস্য সমাধানে স্থায়ী ভাবে ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এ গ্রামটির পাশে আরো তিন থেকে চারটি গ্রামের লোক এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন তারা জানান, তাদের ছেলে-মেয়েদের বিযয়ে দিতে গেলে বিয়েযাত্রীদের নিয়ে প্রায় পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয়। এই বিষয়টা উক্ত এলাকাবাসীর জন্য অনেক দুঃখজনক ও অপমানজনক বলে দাবী স্থানীয়দের। ভারী কোনো জিনিস পত্র সরাসরি আনা নেওয়া করা যায় না। বসতবাড়ীসহ নানা কাজ কর্মে মাধ্যমে নিত্য চাহিদা পুরুণে তৈরি করতে গেলে তাদের ডাবল খরচ বহন করতে হয় যেমন ইট বালি রড আলাদা মজুরী দিয়ে প্রায় ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার দূর হতে আনতে হয়। এবং বর্ষা মৌসুম এলে রাস্তায় অনেক জায়গায় ভেঙ্গে যায় হাঁটু পরিমান কাঁদা হয় এবং অনেক জায়গায় পানি ওঠে। এলাকাবাসী ও গ্রামের তরুণ ছেলে মেয়েদের একটাই চাওয়া এলাকার জনপ্রতিনিধির দৃষ্টি আকর্ষণ এর মাধ্যমে রাস্তার বেহাল দশা চলাচলের সর্বোচ্চ সমাধান এর জোর দাবি করেছেন।