পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছা থানার পল্লীতে তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার। থানায় মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষণকারী। উল্টো ভিকটিমের পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্যে ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে আসামি পক্ষের লোকজন। গত ৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখ সোমবার সরেজমিন ধর্ষণকারী ভিকটিমের এলাকায় গিয়ে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের গেওয়াবুনিয়া গ্রামের দিনমজুর খেটে খাওয়া চায়ের দোকানদার তুষার মন্ডল এর তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া কন্যা (৯)। সে প্রতিদিনের ন্যায় প্রতিবেশী প্রশান্ত বাওয়ালীর বাড়িতে খেলছিল। খেলা অবস্থায় ঘটনারদিন ২৭ জুন ২০২০ তারিখ বিকালে সুকৌশলে মিষ্টি খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একই এলাকার গৌতম বৈরাগীর নারীলোভী লম্পট ও মাদকসেবনকারী পুত্র শিমুল বৈরাগী তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। লম্পট শিমুলের পিতা মাতা বাড়িতে না থাকার সুযোগে তুষারের শিশু কন্যাকে ঘরের ভিতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য তাকে ভয়ভীতি ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে শিশুটি বাড়ি এসে পেটের ব্যাথায় ছটপট করতে থাকে। তখন তার মা অঞ্জলী মন্ডল তার মেয়ের কাছে কি হয়েছে জানতে চায়। তখন মেয়েটি তার মা বাবাকে ঘটনাটি বিস্তারিত বলে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ভিকটিম কে নিয়ে তার বাবা মা পাইকগাছা থানায় যায়। এ ব্যাপারে অঞ্জলী মন্ডল বাদী হয়ে শিমুল বৈরাগীকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করে। ওসি অভিযোগটি আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড করে। যার নং- ৩১, তারিখ- ১৯/০৭/২০২০ইং। পুলিশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি থেকে ভিকটিমের মেডিকেল পরিক্ষা করেছে বলে জানান তার পরিবার। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত লম্পট শিমুলের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি চায় ভিকটিমের পরিবার ও এলাকাবাসী। এলাকার ব্যবসায়ী তরুণ মন্ডল বলেন, জঘন্যতম এই ঘটনার বিচার চাই। স্থানীয় ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, ঘটনাটি সত্য, আমি এই ঘটনার বিচার চাই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অনীষ মন্ডল জানান, বাদী পক্ষ হুমকির বিষয় থানাকে অবহিত করেনি। থানা থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও দুর্গম এলাকা হওয়ায় আসামী গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না, তাই ঐ এলাকায় সোর্স লাগিয়ে আসামী গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।