স্নেহেন্দু বিকাশ, পাইকগাছা : পাইকগাছায় অবশেষে নানা নাটকীয়তার ৪দিন পর প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা ও স্কুল ছাত্রের অপরহরণের নাটক পুলিশ ব্যর্থ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ভিকটিমের পিতা বিপ্র দাশ সরকার অজ্ঞাতনামা দুজনের বিরুদ্ধে থানায় এ ধর্ষণের মামলাটি করেছেন। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ কয়েকটি সূত্র ধরে এ ঘটনার তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার গভীর রাতে সোলাদানা ইউপির নায়েবখালী গ্রামের বিপ্র দাশ সরদারের ১০ম শ্রেণিতে পড়–য়া প্রতিবন্ধী মেয়ে প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে যায়। অভিযোগ উঠেছে, এ সময় এক নারীর সহায়তায় মধ্য বয়সী এক পুরুষ বাড়ীর পাশে গোলবাগানে ফেলে তাকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। পরদিন সকালে স্কুল ছাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। ডাক্তার ও পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঐ ভিকটিম জানান, ঘরের বাইরে আসার পর তারা আমাকে ঝাপটে ধরে বল প্রয়োগ করে পাশবিক নির্যাতন করে। কারা এ ঘটনায় জড়িত তা বলতে পারেনি। এদিকে, ঐ স্কুল ছাত্রীর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তির পর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। এদিকে, ঘটনার ৩দিন পর বিপ্র দাশ সরকারের চারবান্ধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণি পড়–য়া পুত্র বিমান ওরফে বাবু মঙ্গলবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ হয়েছে বলে পুলিশকে অবহিত করা হয়। থানাপুলিশের এস,আই আবু সাঈদ দ্রুততার সঙ্গে ঐ স্কুলে পৌছালে এ সময় বাবুকে ক্লাস রুমে পাওয়া গেলে সে পুলিশকে জানায় অপহরণের শিকার হয়নি। এদিকে, প্রতিবন্ধী মেয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা বিপ্রদাশ সরকার মঙ্গলবারে থানায় অজ্ঞাতনামা দুজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। যার নং- ২৮। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছেন, বিপ্রদাশ সরকার গং ও স্থানীয় চিংড়ি ঘের মালিক কামরুল গাজী গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তির বিরোধে মামলা ও একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে আসছে। যা থানাপুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উভয়পক্ষকে সমঝোতার করার জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা করে আসছে। এরই মধ্যে ধর্ষণের মামলা ও অপহরণের নাটক এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। যা পুলিশ তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে। ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, দুটি ঘটনার ১টি মিথ্যা ও অপরটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর মন্তব্য করে জানান, ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং এ মামলায় পুলিশী তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।