পাটকেলঘাটায় জেকে বসেছে তীব্র শীত

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-০৯ - ১৭:৪৪

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : প্রকৃতিতে ক্রমেই যেন শীত জেকে বসেছে। এরই মধ্যে আসতে শুরু হয় ঝিরঝির ঠান্ডা হাওয়া। প্রকৃতিতে শীত যতই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো পড়ছেন মহাবিপাকে। একমুঠো ভাত পরিবারের মুখে তুলে দিতে শীতের ভেতর হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করলে অপর বেলায় শীত যেন পুরোদমে জেকে ধরছে। অধিকাংশ পরিবারের গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য থাকলেও আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা শীতের ভেতর খুব্ই অসহায় হয়ে পড়েন। জুবুথুবু হয়ে শীতের বিলাপ যেন মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী । প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারী বেসরকারিভাবে কম্বল বিতরণ করা হলেও এবছর পাটকেলঘাটার থানা অঞ্চলে তার কিঞ্চিত পরিমাণ দেখা মেলেনি। দেখা মিললেও স্বজনপ্রীতির কারণে প্রকৃত প্রাপ্য ব্যক্তিগণ থাকেন অধরায়।
শীত আঘাত হেনেছে পাটকেলঘাটা সহ তালা উপজেলার সর্বত্রই। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় ভোর থেকে উপজেলার সর্বত্রই শীতের মাত্রা বেড়েছে। আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে ঠান্ডা আবহাওয়া আরও বেশ কিছুদিন থাকবে। দিনের বেলায় সূর্য দেখা গেলেও উত্তাপ ছড়াতে দিতে না পারায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পাটকেলঘাটা সহ আশপাশের গোটা এলাকা। থানা সদর এলাকায় জন সাধারনের উপস্থিতি ছিল অনেক কম। বেশির ভাগ লোকজন প্রচন্ড শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে কম। খেটে খাওয়া মানুষ গুলো পড়েছে নিদারুন যন্ত্রণায়। শীতের প্রকোপে দূর্বিসহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনের বেলায় প্রচন্ড ঠান্ডায় থানা সদর সহ আশপাশের এলাকায় সাধারন মানুষের জীবন-যাপন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। দরিদ্র শীতার্ত মানুষ খড়কুটায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। থানার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। বাড়ছে শীত জনিত নানা রোগ। বিশেষ করে দরিদ্র লোকজন শীতবন্ত্র ও কাজের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। শীতে বেশী কষ্ট ভোগ করছে শিশু ও বয়স্করা। এছাড়া এলাকার অসহায় বস্তিবাসী ও রাস্তার ধারে আশ্রয়ে থাকা মানুষ গুলোর শীত নিবারণের কোন সামর্থ নেই। তাদের তাকিয়ে থাকতে হয় সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর অনুদানের দিকে। দুস্থ অসহায়দের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণে তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। কনকনে শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে থানার লক্ষাধিক মানুষ। হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ এলাকার লোকজন শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ইরিবোরো মৌসুমে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক লোকজনের বেশী সমস্যা দেখা দিয়েছে। মানুষ ছাড়াও শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে গবাদী পশু ও অন্যান্য প্রাণীকূল। এখনও পর্যন্ত সরকারী বেসরকারীভাবে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের মধ্যে কোন শীতবন্ত্র বিতারণের তেমন খবর পাওয়া যায়নি। এলাকার ক্লিনিক, নার্সি হোম ও ডাক্তার খানা গুলোতে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বেশী বলে জানান ডাক্তাররা।