প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবৈধ ভাবে সরকারি গাছ কাঁটা বন্ধ    

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-২২ - ১৯:১৪

ডুমুরিয়া(খুলনা)প্রতিনিধি : ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া গ্রামের সৌমিত্র মল্লিকসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে সরকারি ভিপি

জমিতে থাকা ৩ টি বড় শিরিস গাছ অবৈধ ভাবে কেঁটে নেয়ার অভিযোগ উঠছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রতিবাদী যুবক প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে গতকাল সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে।  লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার খর্নিয়া মৌজার ১৮১৯ দাগে ০.৪৭ একর ভিপি স¤পত্তিতে তিনটি বড় শিরিষ গাছ রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মুল্য অনুমান ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ওই গাছ তিনটি ¯হানীয় মৃত অমল মল্লিকের পুত্র সৌমেত্র মল্লিকসহ তার সহযোগিরা স্থানীয় রানাই গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী কাশেম হালদারের কাছে গাছ ৩ টি ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। গাছ ক্রেতা গাছ গুলি শ্রমিক লাগিয়ে ডালপালা কেটে সরিয়ে নেয় ও একটি গাছের গোড়া খনন করে। বিষয়টি ¯হানীয়রা জানতে চাইলে গাছ কাঁটার সাথে যুক্ত কেউ সন্তষ্ট জনক কোন উত্তর দিতে না পারায় এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন মিঠু গত রোববার জেলা প্রসাশক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রতি চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সৌমিত্র মল্লিক মুঠোফোনে জানান জমিটি ভিপি সম্পত্তি হলেও আমরা বিগত প্রায় ৩০/৩২ বছর ধরে ডিসিআর নিয়ে ভোগ দখল করছি। স্থানীয় সরকার দলীয় কতিপয় নেতাকে জানিয়ে আমরা গাছ গুলি কাটছি। জানতে চাইলে গাছ ক্রেতা কাশেম হালদার বলেন, আমি গাছ কাঁটার সাথে স¤পৃক্ত নই। তবে গাছ কাঁটতে সৌমিত্র আমার কাছে কয়েকজন শ্রমিক চেয়ে ছিলো,আমি তাকে ৪ জন শ্রমিক ঠিক করে দিয়েছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশেক হাসান জানান একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি ¯হানীয় শোভনা  ইউনিয়ন ভূমি সহকারিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলাম। তিনি জানিয়েছেন গাছ গুলি সরকারী জায়গায় হওয়ায় কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লিখিত তদন্ত রিপোর্ট পেলেই পরবর্তী আইন গত পদক্ষেপ নেয়া হবে।