ঢাকা অফিস : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নালিশ জানানো প্রিয়া সাহার এনজিও শারি’র বিরুদ্ধে আনা নানা অভিযোগ তদন্ত করছে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। তার সাবেক সহকর্মী ও প্রকল্প এলাকার লোকজন প্রিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন। এরইমধ্যে সংখ্যালঘুদের নিয়ে চলা একটি প্রকল্পে অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে তার ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে।
২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রিয়া সাহার এনজিও শারি দলিত সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘুদের জন্য দুটি প্রকল্পে অনুদান খরচ করেছে ৬ কোটি ১৬ লাখ ৩১ হাজার ৪৮৪ টাকা। এনজিওটির তথ্য বলছে, এই টাকার প্রায় অর্ধেকই খরচ করা হয়েছে পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায়।
কিন্তু সংখ্যালঘুদের জন্য যে এলাকায় সবচেয়ে বেশি কাজের কথা বলেছে এনজিওটি, সেখানের সংখ্যালঘু লোকজন এই এনজিও তাদের জন্য কিছুই করেনি।
সম্প্রতি প্রিয়া সাহার এনজিও থেকে অব্যহতি নেয়া সদস্যরা অভিযোগ করেছেন সংখ্যালঘুদের দেখিয়ে বিদেশী অনুদান আত্মসাৎ করেছেন প্রিয়া সাহা।
প্রিয়া সাহার এনজিও থেকে সদ্য পদত্যাগ করা সদস্য খালিদ আবু বলেন, ‘তিনি (প্রিয়া সাহা) কোনো কার্যক্রম করছেন না, শুধু চা-নাস্তা আর বাকিটা বিল করে টাকা আত্মসাতের জন্য তিনি এ কার্যক্রমটা করেছেন।’
প্রিয়া সাহা দলিতদের নাম নিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে টাকা আনতেন উল্লেখ করে সদ্য পদত্যাগ করা আরেক সদস্য সাদুল্লাহ লিটন কিছু কর্মকর্তাসহ প্রিয়া সাহার দ্রুত তদন্ত করার দাবি জানান।
বর্তমানে প্রিয়া সাহার এনজিও শারি’র মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের জন্য চলমান তিন বছরের একটি প্রকল্পের প্রথম বছরের অর্থের ব্যয় ও পরিচালনা নিয়ে নানা অসংগতি পেয়েছে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। ব্যুরোর নিরীক্ষা বিভাগ বলছে, এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন না নিয়েই স্থানীয়ভাবে অনুদান নিয়েছে শারি। এরকম আরোকিছু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক (নিবন্ধন ও নিরীক্ষা) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন বলেন, ‘যেকোনো অভিযোগ আসলে আমরা তদন্ত করবো এবং আমাদের যে আইন আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’