ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি// ফুলতলায় মানুষের কল্যাণে আমরা’র আয়োজনে জামিরা বাজার আসমতিয়া স্কুল এন্ড কলেজ চত্ত¡রে বৃহস্পতিবার থেকে দু’দিন ব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। গ্রাম বাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্যের রীতিনীতিকে কিছুটা স্মরণ করিয়ে দিতে জামিরা বাজার আসমোতিয়া স্কুল এন্ড কলেজে এবং টোলনা জেপিডিএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচালিত এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বিএমএ সালাম। মানুষের কল্যাণে আমরা’র সভাপতি মোঃ আরমান হাসান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা ফুড ব্যাংক, বøাড ব্যাংক ও অক্সিজেন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সালেহ উদ্দিন সবুজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ গাজী মারুফুল কবীর, ফুলতলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইলিয়াস তালুকদার, কৃষি ব্যাংক জামিরা শাখার ব্যবস্থাপক কাজী মেহেদী হাসান, প্রেসক্লাব ফুলতলার সভাপতি তাপস কুমার বিশ্বাস, সহকারী অধ্যাপক মোঃ নেছার উদ্দিন, শেখ নজরুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক প্রীতিশ চন্দ্র মন্ডল, প্রভাষক তাপস কুমার মজুমদার, শেখ আঃ সালাম, সালমা খাতুন, আশরাফুল আলম, মুরাদ হুসাইন প্রমুখ।
দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসবে নানা পিঠার সমাহার নিয়ে হাজির ছিল শিক্ষার্থীরা। স্টলগুলোলো ঘুরে দেখা যায়, বাঙালি এতিহ্যের নানা রকম ভাপা, মশুর পাকন, চিকেন পুলি, নারিকেল দুধ পুলি, নারিকেল পুলি, গোলাপ ফুল পিঠা, নারিকেল বিস্কুট পিঠা, কুলি পিঠা. তেল পিঠা, ডিম সুন্দরী পাটিসাপটা পিঠা, কাচাঁ ঝালের রস গোল্লা, আনারকলি, দুধসাগর এবং চিতই পিঠার সমাহার। উৎসবে ২১টি স্টলের পিঠার সমাহার যেমন ঠিক তেমনি স্টলের নামের দেখা গেল বৈচিত্র। উৎসবে আসা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভিন্ন স্টলে ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। পিঠা উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হোসেন তপু জানান, পুরানো দিনের সব পিঠাকে মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই এই পিঠা উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। এসব পিঠা যে শুধু বাড়ি থেকে তৈরি করেই নিয়ে আসা হয়েছে তা নয়, আগত অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য অনেক স্টলেই তৈরি হচ্ছে গরম গরম পিঠা।