ফুলতলা (খুলনা): সরকারি জমি থেকে গাছ কেটে নেওয়ার সময় এলাকাবাসি কর্তৃনকৃত গাছ আটকে দেয়। পরে উপজেলা ভুমি অফিস কর্তৃনকৃত গাছ নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার বিকালে ফুলতলা মহিলা কলেজ সংলগ্ন আলকা মৌজায়। সংশিষ্ট সূত্র জানায়, আলকা গ্রামের মৃত মোহাম্মাদ আলীর পুত্র মোহাম্মাদ আমানুল্লাহ গত ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি দামোদর ইউনিয়নের আলকা মৌজার ১৩২৬নং খতিয়ানের ৬০৬নং দাগের ‘ক’ তফশীলভুক্ত ১৮ শতাংশ জমি ইজারা গ্রহন করেন। বিধিতে ইজারা গ্রহনকৃত জমিতে গাছ কর্তৃন, পাকা ঘর নির্মান বা জমির আকার আকৃতি পরিবর্তনে নিষেধ থাকে। অপরদিকে লীজ গ্রহনকারী মোহাম্মাদ আমানুল্লাহ সরকারি ঐ জমি থেকে ৪টি গাছ কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করে। সোম ও মঙ্গলবার দু’দিন ধরে কাঠ ব্যবসায়ী গাছ কেটে নেওয়ার সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য সরদার আঃ রহমানের নেতৃত্বে এলাকাবাসী কর্তৃনকৃত গাছ আটকিয়ে দিয়ে উপজেলা ভুমি অফিসে খবর দেয়। সহকারি কমিশনার (ভুমি) পিংকি সাহার নির্দেশে দামোদর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সহকারী তহশীলদার আঃ রব, কামাল হোসেন ও সার্ভেয়ার জামাল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কর্তৃনকৃত গাছগুলো ‘ক’ তফশীলভুক্ত জায়গার বলে নিশ্চিত হয়ে ২০পিচ কাঠ জব্দ করেন। বিধি উপেক্ষা করে ইতিপূর্বে ঐ জমি থেকে মাটি কেটে নেয়া হয়েছে যা সরেজমিনে গিয়ে প্রমানিত হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরকারি গাছ কর্তনের বিষয়ে কোন মামলা হয়নি। লীজকৃত জমির মাটি ও গাছ কাটার অভিযোগ স্বীকার করে লীজ মোহাম্মাদ আমানুল্লাহ বলেন, বিধি নিষেধের বিষয়টি আমার জানা ছিল না।