ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি// ফুলতলায় ১৩টি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মধ্যে ৭টিই অবৈধ। ব্যক্তিমালিকানাধীন এসব চিকিৎসাকেন্দ্র ও রোগ নির্ণয়কেন্দ্র বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ফুলতলার উপজেলার ১৩টি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মধ্যে ৭টিই অবৈধ হওয়ায় শনিবার বিকালে বন্ধ ঘোষনা করে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এ গুলো হলো ফুলতলা বাজারের জামিরা সড়কের কাজী নুর হোসেনের মালিকাধীন আল-শেফা ডায়াগনষ্টিক, ইমরানুল ইসলাম রুমনের সেবা ডায়াগনষ্টিক, ডাঃ শফিউদ্দিন মোল্যার করিমুনেচ্ছা প্যাথলজি, শিকিরহাট সড়কের মোঃ ইরসাফিল হোসেনের স্কয়ার ডায়াগনষ্টিক, বেজেরডাঙ্গা বাজারের হাসানুজ্জামান মোড়লের মেডি ল্যাব প্যাথলজি, শিরোমনির ডাঃ কামাল হোসেনের দি গ্রেট হাসপাতালের প্যাথলজি বন্ধ এবং তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া নতুনহাট এলাকার নিপুন চন্দ্রের মডার্ণ ডায়াগনষ্টিককে সীল করে দেয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জেসমিন আরার নেতৃত্বে অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের আরএমও ডাঃ হাসিবুর রহমান, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেন, থানার এসআই নিরঞ্জন কুমার প্রমুখ।
গত বৃহস্পতিবার স¦াস্থ্য অধিদদপ্তর ৭২ ঘন্টার (তিন দিন) মধ্যে সারা দেশের অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশনা খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তরে পাওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধ করতে হবে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নবায়ন করেনি তাদের নিবন্ধন নাবায়ণ করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে। সময়সীমার মধ্যে নবায়ণ না করলে ওই সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। অপরদিকে যে সব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছেন, তাদের নিবন্ধন দেওয়া কার্যক্রম দ্রæত শেষ করতে হবে। নিবন্ধন পাওয়ার আগে এসব প্রতিষ্ঠান কোনোভাবে কার্যক্রম চালাতে পারবে না।