বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি : বটিয়াঘাটার গঙ্গারামপুর গ্ৰামের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র হৃদয় রায় (পটু) (১৯) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । গত ১৬ জুন হৃদয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল আনুমানিক ৪:মারা যায় । সে ওই গ্ৰামের সমারেশ রায় এর পুত্র । জানা গেছে, উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্ৰামে প্রসেনজিতের চায়ের দোকানে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিদিন গভীর রাতে কেরাম খেলার নামে জুয়া ও বিভিন্ন নেশার আসর চলে আসছে । গত ১৪ জুন রাতে হৃদয় রায় ও তার বন্ধু গঙ্গারামপুর গ্ৰামের অরুন রায়ের পুত্র অপু রায় ( ২৭,)দুলাল সরকারের পুত্র জ্যোতি সরকার (২৫),ফণিভূষন রায়ের পুত্র দেবু রায়(২৪) সহ আরো কয়েক জন মিলে প্রতিদিনের মতো প্রসেনজিৎ রায়ের চায়ের দোকানে যায় এবং কেরাম খেলার জূয়ায় অংশগ্রহণ করে ।এক পর্যায়ে রাত আনুমানিক ৩ টায় ১০০ টাকা পাওনাকে কেন্দ্র করে অপু তার বন্ধু হৃদয় চড় মার । সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়ও অপুকে পাল্টা চড় মারে । এসময় দোকানদার প্রসেনজিৎ,অপু,জ্যোতি,দেবু সহ অন্যান্য সহযোগীরা মিলে হৃদয় তুলে নিয়ে বেধড়ক লাথি,কিল ঘুষি মারতে থাকে । এক পর্যায়ে অপু হৃদয়ের তল পেটে এলোপাথাড়ি লাথি মারলে হৃদয় ব্যাথার যন্ত্রনায় ছটফট করতে লাগলে সকলে মিলে ওই রাতে গঙ্গারামপুর গ্ৰামের পল্লী চিকিৎসক মোঃ বাবুল শেখের কাছে গিয়ে বলে এ্যাপেন্ডিসের ব্যাথা করছে । বাবুল সেই মতো চিকিৎসা দিয়েও দেয় । কিন্তু হৃদয়ের তল পেটের যন্ত্রনা না কমায় পরের দিন পরিবারের পক্ষ থেকে কাতিয়ানাংলা বাজারে পল্লী চিকিৎসক শেখরের কাছে দেখায় । শেখর সমান্য চিকিৎসা শেষে হৃদয়ের উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ প্রদান করেন । ওই দিন পরিবারের পক্ষ থেকে হদয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৬ জুন বিকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে । অন্যদিকে হৃদয়ে মৃত্যু হয়েছে এ্যাপেন্ডিস অসুখে তার কারনে লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে দাফন সম্পন্ন করেছে বলে জানা যায় । খরব পেয়ে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের একজন এসআই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্মশ্মানে হৃদয়ের চিতা জ্বলছে দেখে ফিরে আসে । তারই ধারাবাহিকতায় হৃদয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ১২ জুলাই গত পরশু মঙ্গলবার অপু ও সহযোগীরা মিলে হৃদয়ের মা শিবানী রায়,জ্যাঠা বিষ্ণু পদ রায় ও প্রতিবেশী দেবদাস কবিরাজকে এলোপাথাড়ি মামলা চালিয়ে নীলাফোলা আহত করে এবং ছেলের মতো তোদেরকেও জীবনে শেষ করে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায় । এব্যাপারে ভূক্তভোগী দেবদাস কবিরাজ গতকাল ১৩ জুলাই থানায় জিডি এন্ট্রি করেছে । তার জিডি নং-৫৪২ । এব্যাপারে প্রতিবেশী আরুনী সরকার বলেন, আমি হৃদয়ের পুরুষাঙ্গ ও অন্ডকোষ ফোঁলা দেখেছি । এব্যাপারে হৃদয়ের জ্যাঠা বিষ্ণুপদ রায় বলেন, হৃদয় আমার কোলে মৃত্যু বরণ করছে । এব্যাপারে হৃদয়ের পিতা সমারেশ রায় ও মাতা শিবাণী রায় সন্তান হত্যা বিচার দাবি করেছে । এব্যাপারে এলাকাবাসী আইন বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ।