বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি :“চালু হলো ই-নামজারী, দালাল, বাটপারদের মাথায় বাড়ি” এই স্লোগানকে বাস্তবে রূপদান দিতে বটিয়াঘাটা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রাশেদুজ্জামান মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় স্থানীয় জলমা তহশীল অফিসে দালাল বাটপারদের বিরুদ্ধে এক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দুই জন দালালকে ২ শত টাকা করে ৪ শত টাকা জরিমানা আদায় করেন। এসময় মূল দালাল সিন্ডিকেটের সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা যায়। উক্ত ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জনবল কম হবার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সহকারী তহশীলদার মোঃ তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ এর নেতৃত্ব গড়ে তুলেছেন বিশাল দালাল সিনিন্ডকেট। কোন ভূক্তভোগীর খতিয়ানে সামান্য ভিপি আছে, কিন্তু বাকী সম্পত্তি ব্যক্তিমালিকের নামে রেকর্ড রয়েছে সে ক্ষেত্রে দাখিলা কাটা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রথমে ফেরত দেয়। পরবর্তীতে দালালদের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা থেকে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দাখিলা বইতে সরকারী রাজস্ব খাতে ৫ শত থেকে ৫ হাজার টাকা লেখে। আবার সাধারণ ভূক্তভোগী সকাল ৯ টা থেকে সিরিয়াল দিয়ে ২ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত না খেয়ে দাড়িয়ে থেকেও দাখিলা পাচ্ছে না। অপর দিকে দালালরা সকালে দিয়ে রাতে দাখিলা পেয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান গত রবিবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে জলমা তহশীল অফিসে যায় এবং সত্যতা পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৌখিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রাশেদুজ্জামান উক্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। এব্যাপারে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান চঞ্চলা মন্ডল- কে জিজ্ঞাসা করলে এ প্রেিতিবদকে জানান, জলমা তহশীল অফিসে চরম দূর্ণীতি হচ্ছে। দালাল ছাড়া গেলে দুই টাকা শতকের দাখিলা শতক ২০ টাকা করে নিচ্ছে। যদি খতিয়ান ভিপি থাকে তাহলে তো আর কোন কথা নেই। সে ভূক্তভোগী দালালদের খপ্পরে পড়ে একেবারে সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে। আমি কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে এ ব্যাপারে অবগত করেছি।