খুলনা অফিস : বটিয়াঘাটার গজালিয়ার মৃত এনছার আলীর কাছ থেকে ১৯৬৩ সালে ২ একর জমি ক্রয় করে ৮৪ শতক জমি স্থায়ীভাবে ভোগ দখল করে আসছে একই এলাকার আলী আহমদ ও ছেলে রফিকুজ্জামান। বাকি জমি জোর জবর দখল করে খেয়ে আসছে তারা। যে জমির বর্তমান পর্যন্ত আর.এস গেজেট ও খাজনা পরিোশধ করা আছে। ৮৪ শতক জমি বাদে বাকি জমি ৬২ সালের ওরেশ দেখিয়ে এবং ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বিক্রি করে ভোগ দখল করে আসছে আব্দুল মজিদ ও জেসমিন গং। তার পর ও সরল বিশ্বাসে এনছার আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ কে ঐ জমি ইজারা দিলে ঠিকমতো ইজারা না দেওয়ায় অন্যকে ইজারা দেওয়ার কারণেই শত্রু হয়ে দাঁড়ায় রফিকুজ্জামান। তার ইজারাদারদের হুমকি-ধামকি ও দাদার সম্পত্তির ওয়ারেশ হিসাবে ভোগদখলে বাধা সৃষ্টিকারী হিসাবে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় আব্দুল মজিদ এর কন্যা জেসমিন বেগম । রফিকুজ্জামান এর ইজারাদারদের চাষবাসের ঘের থেকে মাছ ধরতে গেলে মৃত এনছার আলীর কোন পূত্র বাধা দিতে না আসলে ও প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায় জেসমিন বেগম এবং সংঘর্ষের জটলা সৃষ্টি করে উল্টো থানায় অভিযোগ করে। থানা কব্জা করে মাছ ধরা থেকে এস আই স্বপ্নের মাধ্যমে বিরত রাখে রফিকুজ্জামানের ইজারাদার দেরকে। উপায়ন্ত না পেয়ে প্রথমে উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান এর নিকট প্রথমে অভিযোগ দায়ের করে ও পরে থানা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় রফিকুজ্জামান। ভূমি -দস্যু ও দখল বাজ জেসমিন গং সকল দরবারে জমির কাগজ পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়ে গত ১লা জুলাই মিথ্যা সংবাদ একটি সম্মেলন করে রাজত্ব কায়েম করার পায়তারা করছে বলে ভুক্তভোগী রফিকুজ্জামানের অভিযোগ। আজ রফিকুজ্জামান তার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে খুলনা প্রেস ক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে। বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, আব্দুল মজিদ শেখের বর্তমান কোনো জমাজমি নাই এবং বৈধ কোনো আয়ের পথ নাই তার মেয়ে জেসমিন ও তার জামাই ওয়াহেদ মোল্লার। এরা সমন্বয়ে গজালিয়া গ্রামে সন্ত্রাসী চক্র গড়ে তুলে, মাদক বিক্রি, ছিনতাই, চুরি, নারী কেলেঙ্কারি সহ অসংখ্য ঘটনা ঘটীয়ে জীবিকা নির্বাহ করে যা বটিয়াঘাটা থানায় তাদের প্রতিটি অপকর্মের রেকর্ড আছে। জেসমিন বেগম অতি ধূর্ত ও মামলা বাজ, ভূমি জবর দখল কারী, তার প্রমাণ তার ভাসুর দ্বয়। তার ভাসুর আজাদ মোল্লা ও তাহের মোল্লার জমি দখল করে তাদের নামে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে ভূমি-দস্যু জেসমিন। একই এলাকার মালেকের কাছে কিছু সংখ্যক জমি বিক্রি করে সে দুর্বল ব্যক্তি হওয়ায় জমি দখল থেকে তাকে বঞ্চিত করেছে। রেহাই পায় নাই একই এলাকার রফিকুল নামে ওদুদ এর চাচাতো ভাই, সূত্রে জানা যায় ওদুদ এর কাছ থেকেও কিছু সংখ্যক জমি ইজারা নেয় আব্দুল মজিদ এর মেয়ে জেসমিন বেগম তার স্বামী ওয়াহেদ মোল্লা। ইজারা নেওয়া জমি থেকে অতিরিক্ত ২ বিঘা জমি জোর করে দখল করে ভোগ করায় রফিকুল থানায় অভিযোগ ও দায়ের করে। ভুক্তভোগীরা সহ রফিকুজ্জামান এর দাবি পিতার জমি বিক্রি করার পর ছেলের কন্যা অর্থাৎ(পুৎনী) দাদার জমি সে কোন সূত্রে জমি দাবি করতে পারে, জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন ছুড়েদেয়। তিনি আরো বলেন যার জমি সে ভোগ করলে তাকে কি ভূমি দখলবাজ বলে নাকি তার জমি অন্য কেউ জবরদখল করে ভোগ করলে তাকে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী বলে এটাও প্রশ্নবিদ্ধ করে তাকে।
তার নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশে করায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে রফিকুজ্জামান এবং একই সাথে ভবিষ্যতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ জনগনকে বিভ্রান্ত করে হেয় প্রতিপন্ন করতে না পারে, তার বিনীত অনুরোধ এর পাশাপাশি রফিকুজ্জামান জানায় আমার পিতৃকুল থেকে আমার বংশ কুলের প্রত্যেকেই সুশিক্ষায় শিক্ষিত এবং আমার নামে থানায়, কোট-কাচারিতে কোন মামলা অভিযোগ নেই।বাবার আমল থেকেই মসজিদ মাদরাসা ও মানুষদের কে জায়গা জমি ভোগ দখলের জন্য দান করে দেই। তথাপি জেসমিন বেগম সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে লিখেছে ভূমি-দস্যু ও সন্ত্রাসী তার জন্য তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেন রফিকুজ্জামান। একই সাথে ইজারাদারদের জমাজমি চাষাবাদের বাধার সৃষ্টিকারী এবং মিথ্যা অংশীদারত্বের আবেদনের মাধ্যমে রফিকুজ্জামান ভোগ দখলীয় জমির জবর দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ জেসমিন গং এর বিরুদ্ধে গতকাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করে এবং যাতে এহেনো কর্মকাণ্ড আর না করতে পারে তার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে।