বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি : খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের বৃত্তি খলশিবুনিয়া গ্রামের নিতিশ তরফদারের মেয়ে খলশিবুনিয়া স্কুলের ১০ম শেনীর ছাত্রী প্রিয়া তরফদার (১৫) কে অপহরণ হওয়ার ১৫৮ দিন পরে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার সময় নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার গজারিয়া গ্রাম থেকে প্রিয়া তরফদার এবং তাকে অপহরণ করা মামলার প্রধান আসামি কারিমুল শেখ (১৭) কে আটক করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আলমগীর বলেন, বটিয়াঘাটা থানা এবং কালিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের আটক করেছি। তিনি আরও জানান,মোবাইল ট্রাকিং করেই তাদের আটক করা সম্ভব হয়েছে। জানাগেছে, সুরখালী ইউনিয়নের বুনারাবাদ গ্রামের মনির শেখের পুত্র কারিমুল শেখ (১৭)সহ ৬ জন মিলে। গত ১৫ ই জানুয়ারি মধ্য রাতে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু প্রায়৫ মাস অতিবাহিত হলেও প্রিয়ার কোন খোঁজখবর পাইনি তার পরিবার। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আলমগীর হোসনে বিভিন্ন জায়গায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে মনির নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অন্যদিকে অপহরণকারী কারিমুলের পক্ষ থেকে মেয়ের পরিবার সংখ্যালঘু হওয়ায় রিতি মতো জীবন নাশের হুমকি প্রদর্শন করে চলছে। সম্প্রতি এক সংবাদ সন্মেলনে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন অপহৃত প্রিয়ার বাবা নিতিশ তরফদার এবং তার মা পৃখক পৃথক সংবাদ সন্মেলন করেন।এবিষয় খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এর ৩৪/২০ নং মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২৫/০১/২০২০ তারিখে নিতিশ তরফদারের মেয়ে মধ্য রাতে তার ঠাকুর মার সঙ্গে বাহিরে যায় কিন্তু পুর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা বুনারাবাদ গ্রামের কারিমুল, সুখদাড়া গ্রামের কিংকর তরফদার ও রিয়াজ শেখ, বৃত্তি খলশিবুনিয়া গ্রামের পল্লব মন্ডল,বুনারাবাদ গ্রামের মনির শেখ ও সন্জিদ তরফদার মিলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করে কোন খোঁজ না পাওয়ায় গত ১৭ জানুয়ারি বটিয়াঘাটা থানায় এজাহার দায়ের করেন কিন্তু থানায় পক্ষ্য থেকে তেমন কোন সহযোগিতা না করায় গত ১৯/০২/২০ তারিখে আদালতে আশ্রয় নেন। গত ১৯শে ফেফ্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা নারী ও শিশু রির্যাতন দমন আইনের ( সংশোধিত ২০০৩,২০০০ এর ৭/৩০ ধারার অধিনে দায়েরকৃত মামলাটি এজাহার হিসেবে গন্য করতঃ তদন্ত পুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল কবীরকে নির্দেশ প্রদান করেন।
নিতিশ তরফদার বলেন, অনেক চেষ্টা করে আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পেরেছি। এজন্য থানা পুলিশসহ জেলা পুলিশ সুপার, পুলিশের আইজি, মাননীয় স্ব রাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে কঠিন শাস্তি দাবি করছি।