বটিয়াঘাটায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা দিশাহারা

প্রকাশঃ ২০১৯-০৭-১৩ - ১৫:৪৯

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটাঃ বটিয়াঘাটায় উপজেলায় আমন মৌসুমে আষাঢ় মাসে বৃষ্টি না হওয়ায় ও নদীতে লবনাক্ততা থাকায় কৃষকরা এখন বীজতলা তৈরি করতে পারেনি। যে কারনে বটিয়াঘাটার কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছে। সামন্য বৃষ্টি হওয়ায় কিছু কিছু কৃষকরা নিচু জমিতে বীজতলা তৈরির জন্য প্রস্তুত গ্রহণ করেছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলা আমন মৌসুমে চাষাবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৫শ হেক্টর জমি। যা গত বছরের তুলনায় ৫শ হেক্টর বেশী। গত মৌসুমে আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল ৬০ হাজার মেঃ টন। উৎপাদিত হয়েছিল ৬০ হাজার ৯শ ৫২ মেঃ টনঃ। আর এ ধান উৎপাদন করতে কৃষকের বীজতলা তৈরি করেছিল ৮শ, ৫০ হেক্টর জমি। এ বছর আমন মৌসুমে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ধান উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরেছে ৭০ হাজার মেঃ টন। আর এ লক্ষ্য মাত্রাকে সামনে রেখে ১৭ হাজার ৫শ হেক্টর জমি চাষাবাদের জন্য বীজতলা তৈরী হচ্ছে ১১শ ৬০ হেক্টর জমি । এর মধ্যে জলমায় ৩ হাজার ৭শ ৭৫ হেক্টর জমি চাষাবাদের জন্য বীজ তলা তৈরী হচ্ছে ২শ ৫০ হেক্টর জমি। বটিয়াঘাটায় ২ হাজার ৭শ ৭০ হেক্টর জমির জন্য বীজতলা ১শ ৮৪ হেক্টর, গঙ্গারামপুরে ২ হাজার ৯শ ৩৫ হেক্টর জমির জন্য বীজতলা ১শ ৯৭ হেক্টর, সুরখালীতে ৩ হাজার ২শ ৬৫ হেক্টর জমির জন্য বীজতলা ২শ ১৭ হেক্টর, ভান্ডারকোটে ১ হাজার ৫শ ৯০ হেক্টর, জমির জন্য বীজতলা ১শ ৬ হেক্টর, আমীর পুর ইউনিয়নের ১ হাজার ৩শ ১৫ হেক্টর জমি চাষাবাদ করতে বীজতলা তৈরী করেছে ৮৮ হেক্টর জমি এবং বালিয়াডাঙ্গায় ১ হাজার ৬শ হেক্টর জমির জন্য বীজতলা তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে উপজেলার কৃষকরা বীজতলা প্রস্তুত করার জন্য ব্যস্ত। অন্যদিকে আষাঢ় মাসে বৃষ্টি না থাকায় ও নদীর পানিতে লবনাক্ততা থাকায় বীজতলা তৈরি করতে পারছে। হঠাৎ গত কয়েক দিন অল্প অল্প বর্ষার হলে কৃষক আগামী আমন মৌসুমে বীজতলা তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আশা করা যাচ্ছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষকরা বীজতলা তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। অপর দিকে খরিপ-১ মৌসুমে এ উপজেলায় ২শ জন প্রান্তিক চাষীকে আউশ ধান চাষ করেছে। প্রত্যেক কৃষক কে ১০ কেজি ইউরিয়া , ১০কেজি পটাশ এবং ৫ কেজি করে আউশ ধানের বীজ বিতরন করা হয়েছে বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর। প্রান্তিক চাষি রায়পুর গ্রামের মো হাফিজুর গাজী জলমার মৃণাল টিকাদার, হাটবাটির সুনীল বাছাড় বুজবুনিয়ার রফিক এ প্রতিবেদক জানান আষাঢ়ের ১ম দিকে বৃষ্ঠি না হওয়ায় ও নদীর পানী লবন থাকায় এখন পর্যন্ত বীজতলা তৈরি করতে পারিনি। তবে বর্তমান বৃষ্টি হওয়ায় বীজতলা তৈরি করার কাজ শুরু করেছি। আশা করছি অতিদ্রুত বীজতলা তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে। এপারে উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আব্দুল মান্নান জানান, বর্ষা না থাকাতে আমন মৌসুমে বীজতলা তৈরি করতে কিছুটা বিলম্ব হলেও বর্ষা শুরু হওয়ায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সকল বীজতলা তৈরি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, বর্তমানে বর্ষা শুরু হয়েছে। কৃষকরাও বীজতলা তৈরি করা শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকুলে ও পোকা মাকড় উপদ্রব দেখা না দিলে আমন মৌসুমে লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।