বটিয়াঘাটায় বিড়ি ফ্যাক্টরি বন্ধে বেকার ৪০ হাজার মানুষ

প্রকাশঃ ২০২০-০৪-১৬ - ১৩:২৪

খুলনা অফিস : উপজেলার এক মাত্র বিড়ি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন ৪০ হাজার মানুষ। অনাহারে অর্ধাহারে অনেকেরই জীবন কাটছে। আমীরপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামে প্রায় ৪৮ বছর আগে গোপাল বিড়ি ফ্যাক্টরি গড়ে ওঠে। কারখানা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত মানুষ এ কাজের সাথে জড়িত। করোনা ভাইরাসের আক্রমণ শুরু হলে কারখানার যাবতীয় কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে যায়। বটিয়াঘাটা উপজেলার ভান্ডারকোট, বালিয়াডাঙ্গা ও আমীরপুর ইউনিয়নসহ রূপসা উপজেলার জাবুসা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গড়ে ওঠা বিড়ি তৈরীর ঘরে এখন তালা ঝুলছে। যারা সরাসরি কারখানায় কর্মরত ছিলেন তারাও গত মার্চ মাসের বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাছাড়া গ্রামের যেসব মানুষ ঘরে বসে বিড়ি বেঁধে দৈনন্দিন সংসার চালাতেন তারাও এখন বেকার হয়ে পড়েছেন।
ভান্ডারকোট গ্রামের কারখানা এজেন্ট শহিদ সেখ জানান, তার ঘর থেকে গ্রামের শহস্রাধিক মানুষ বিড়ি তৈরীর বিভিন্ন মালামাল নিতেন। তৈরীকরা বিড়ি জমা দিয়ে যে অর্থ পেতেন তাদিয়েই তাদের সংসার চলতো। শ্রমিক রাবেয়া খাতুন জানান, বিড়ি তৈরী করেই তার পাঁচ জনের সংসার চলে। এখন দুবেলা খাবার জুটছে না।
গোপাল বিড়ি ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল বলেন, ফ্যাক্টরিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ কাজ করতেন। তাদের অনেককে নামমাত্র বেতন দেয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র বাঁচিয়ে রাখার জন্য। করোনা প্রতিরোধের সকল নিয়ম রক্ষা করে ফ্যাক্টরি চালাতে পারলে মানুষগুলো কষ্ট পেত না।