বটিয়াঘাটা(খুলনা) : উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নে গজালিয়া গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাধে নির্মাণ স্লুইচ গেট বন্ধ করে ইটভাটা তৈরী করায় প্রায় পঁচশ’ একর ধানের জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা বিলে ধান চাষ করতে পারছে না। জমির মালিকরা এ ব্যপাপারে জেলা প্রসাশক ও খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১ নং পোল্ডারে মুক্তার শেখের বাড়ীর পাশে ওয়াপদা বাঁধে একটি ইনলেট গেট রয়েছে। এ গেট দিয়ে বিলের পানি ঝপঝপিয়া নদীতে সরবরাহ হয়। ভাটা মালিক জে,বি ইটভাটার ক্লিন সহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। চলতি বর্ষা মৌসূমে গেট বন্ধ থাকায় বিলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে তিন শতাধিক কৃষকের ফসল উৎপাদন ব্যাহতের আশংকা রয়েছে।
জমির মালিক গজালিয়া গ্রামের বাবুল মোল্যা, মোফাজ্জেল মোল্যা, আবুল হোসেনসহ অনেকেই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চলতি আমন মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে তারা এখনও বিলে ধান চাষ করতে পারেনি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যাান আব্দুল হাদী সরদার বলেন, ওয়াপদা গেট বন্ধ করে ইটভাটা তৈরী করায় সমস্ত বিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আমন ধান চাষ বন্ধ রয়েছে। ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ জিয়াউর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থলে যেয়ে গেটের সামনে থেকে মাটি কেটে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ চক্রবর্তী বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে গেট উন্মুক্ত করার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারা মাটি না সরালে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইটভাটার মালিক আব্দুল লতিফ দেশের বাইরে থাকায় তার ব্যবস্থাপক ইকরাম হোসেন বলেন, ডুমুরিয়ার আলহাজ আব্দুল লতিফ জমাদ্দার ওয়াপদা বাঁধের ভিতর ও বাহিরে জমি ক্রয় ও লিজ নিয়ে ইট ভাটা নির্মান করছেন। তার নির্দেশে কাজ চলছে।