ঢাকা অফিস : আগামি পহেলা এপ্রিল থেকে বিদেশী চ্যানেলে দেশী পণ্যের বিজ্ঞাপণ চলতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে ১২ই মে অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ১ বছর পূর্তির আগেই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার শুরু করতে হবে বলেও জানান তিনি।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন-অ্যাটকোর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে টিভি চ্যানেলের কর্মীদের বেতন-ভাতা সংকট নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী বিদেশি চ্যানেলে দেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন সম্পর্কে বলেন, ‘পহেলা এপ্রিল থেকে বিদেশী চ্যানেলে দেশী বিজ্ঞাপণ চালানো যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ দিবসের আগেই টিভি চ্যানেলগুলো সেই স্যাটেলাইট ব্যবহার শুরু করবে। প্রথম তিন মাস সুবিধা পাওয়া যাবে বিনামূল্যে। এরপর আলোচনা সাপেক্ষে মূল্য নির্ধারণ করা হবে।’
এ সময় অ্যাটকোর পক্ষ থেকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেয়া হয়। একইসঙ্গে অনুমোদনবিহীন টিভি চ্যানেল ও পোর্টাল বন্ধে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
অ্যাটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘আমাদের সবার ডেটা ফাইবার অপটিক করে সজীব ওয়াজেদ গ্রাউন্ড স্টেশন আপলিংক করবো। কেবল অপারেটররা ডাউনলিংক করবে।’ তিনি গ্রাহকদের খরচ যেন যৌক্তিক করা এবং আইপি টিভির নামে নৈরাজ্য বন্ধ হওয়ার উপরেও জোড় দেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে যেসব বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল দেখানো হয় সেগুলোতে দেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবি জানিয়ে অনুষ্ঠান নির্মাতা, শিল্পী, বিজ্ঞাপন নির্মাতারা বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন।
বাংলাদেশের বেশ কিছু কোম্পানি ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। আর বাংলাদেশ থেকে বিদেশি টিভি চ্যানেলে দেশীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
ভারতীয় চ্যানেল যেভাবে বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়েছে সেজন্য এসব চ্যানেলে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলে আরও বেশি সংখ্যায় ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। কিন্তু অভিনয় শিল্পী এবং টেলিভিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অনেকেই জানিয়েছেন, এতে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে যাচ্ছে।