মোংলা প্রতিনিধি : মোংলা বন্দরে আসছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৬৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রথমেই তিনি বন্দরের প্রশাসনিক ভবন চত্বরে একটি বৃক্ষ রোপন করবেন। এরপর অনুষ্ঠানে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসানের স্বাগত বক্তব্যের পর বন্দরের উপর নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, নৌ পরিবহণ মন্ত্রী শাহাজান খান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তৃতা শেষে বন্দরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটবেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। প্রথমভাগে রাষ্ট্রপতির প্রধান অতিথির ভাষণের পর দ্বিতীয়ভাগে রাতের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন রাষ্ট্রপতি। বন্দরের রেষ্টহাউস ‘পারিজাতে’ রাত্রিযাপনের পর বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজ যোগে পশুর চ্যানেল পরিদর্শন করবেন তিনি। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মোংলা বন্দরে ২টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তার ও ২টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। জি-টু-জি প্রক্রিয়ায় চাইনিজ অর্থায়নে দুইটি টার্মিনাল এবং পি-পি প্রক্রিয়ায় আরো দুইটি মোট ৪টি টার্মিনাল নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। এছাড়া বন্দরের পশুর চ্যানেলে অয়েল স্পিল হলে তা রিকভারী করার জন্য সদ্য ক্রয়কতৃ পশুর ক্লিনার-০১ নামক একটি জাহাজটির কমিশনিং প্রদাণ ও মোংলা থেকে রামপাল পর্যন্ত ড্রেজিং কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করবেন তিনি। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল পরিদর্শন করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতির মোংলা বন্দর সফরকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সাথে বন্দর এলাকায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, সৌন্দর্য্যবর্ধনে ব্যাপক আলোক ও সাজসজ্জার আয়োজন করা হয়েছে। বন্দর চেয়ারম্যান ফারুক হাসান আরো বলেন, বন্দর প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম মোংলা বন্দরের কোন অনুষ্ঠানে একজন মহামান্য রাষ্ট্রপতির আগমন ঘটছে। তার এই আগমনে মোংলা বন্দরে নতুন মাত্রার যোগ হলো। তার পদচারণায় এ বন্দর আরো অধিক গতিশীল হয়ে উঠবে বলে আশা সকলের। এদিকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আগমনে মোংলা-রামপালাবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।