রবিউল ইসলাম মিটু,যশোর: দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। বৃহস্পতিবার সকালে যশোরে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া বিভাগ। যশোর বিমান বন্দরে মতিউর রহমান ঘাঁটির আবহাওয়া দফতর থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই যশোরে তাপমাত্রা ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। শীতে কাবু সাধারণ মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। রাস্তাঘাটে মানুষজন খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে রাস্তায় বা বাড়ির আঙিনায় আগুন জ্বেলে ছোট-বড় সবার জড়ো হওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ছে। গ্রামাঞ্চলে গরু-ছাগলকে উলের কাপড় কিংবা মোটা বস্তা দিয়ে ঢেকে ঠাণ্ডা নিবারণের প্রচেষ্টা চলছে।
শীতের কারণে ঠাণ্ডাজনিত রোগ-বালাই বেশি হচ্ছে বলে জানান যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক নাজমুস সাকিব রাসেল। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শিশু-বৃদ্ধ সবার রোটা ভাইরাসজনিত রোগ, ডায়রিয়া, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট একটু বেশি হচ্ছে। এই সময়ে সবারই একটু বেশি কেয়ার নিতে হবে। বিশেষ করে গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। আর পানি যদি পারা যায় একটু গরম করে খাওয়া দরকার। শীতে ফলমূল, শাকসবজি বেশি করে খাওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘খাবার একটু গরম করে খাওয়া এবং খুব প্রয়োজন না পড়লে বাইরে না বেরোনোই ভালো।’
যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিনই শীতের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভর্তি হচ্ছেন। আশি বছরের বাবর আলী বলেন, শীতে তার ঠান্ডা কাশি বেশি হওয়ায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সাথে শিশুদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য রুহুল আমিন শীতে কেউ মারা যায়নি বলে জানান। তবে, প্রকোট শীতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বলে তিনি শুনেছেন।