বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশঃ ২০১৭-১১-১২ - ১৯:৪৮

রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর : যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়ক ও বেনাপোল বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের অভাবে দু-দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্থ’বিরতা নিরসনের লক্ষে ৯ দফা দাবিতে যশোরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বর্তমানে যশোর- বেনাপোল মহাসড়কের দু’পাশে প্রাচীন বৃক্ষের বড় বড় ডাল ঝুলে আছে। এর শিকড়ের কারণে সড়কের মাঝে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বন্দর থেকে খালাসকৃত ও রফতানী মূখী পণ্য বোঝাই ট্রাক ,কাভার্ডভ্যান ও দূরপাল্লার পরিবহন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। ঘটছে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনায় মানুষের প্রাণ হানি। রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কার করার দাবি জানানো হয়। বেনাপোলে ভয়াবহ স্থান সংকটের কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ ভারতীয় পার্শ্বে ৫/৭ হাজার গাড়ী ২০/২৫ দিন যাবৎ দাঁড়িয়ে থাকে ফলে ডেমারেজ বাবদ প্রতিদিন ২ হাজার ভারতীয় রুপী পরিশোধ করতে হচ্ছে বাংলাদেশী আমদানী কারকদের। আগে প্রতিদিন ৭’শ থেকে ১ হাজার ট্রাক মালামাল আসতো সেখানে বর্তমানে আসে ৩’শ থেকে ৪’শ গাড়ী। এছাড়া শেডের সংখ্যাও কম। অবিলম্বে শেডের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। এছাড়া ভারত থেকে আমদানী করা প্রতিদিন শ শ নতুন ট্রাক চেসিস,বাস ও প্রাইভেট কার রক্ষণাবেক্ষনের জন্য নতুন ইয়ার্ড নির্মাণ, ভারতের সাথে সংযুক্ত বেনাপোল বন্দরের লিংক রোডের পার্শ্বে নোম্যান্স ল্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করে ওপেন ইয়ার্ড/শেড নির্মাণ ,বেনাপোল বন্দরের নিজস্ব প্রশাসনিক ভবনসহ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ, ১০টি ক্রেণ, ১০টি ফরকলিফটসহ মালামাল উঠা-নামনোর জরুরী যন্ত্রপাতি সরবরাহ, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করে সিসি ক্যামেরর আওতাভুক্ত করা, যাত্রী যাতায়াতের সময় কমপক্ষে রাত ১০ টা পর্যন্ত করা এবং জরুরী ভিত্তিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে একটি বি এস টি আই অফিস স্থাপনের জোর দাবি জানানো হয়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা,সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্জ্ব নুরুজ্জামান,সাবেক সভাপতি আলহাজ্জ্ব শামসুর রহমানসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।