মেহেদী হাসান উজ্জল (ফুলবাড়ী) দিনাজপুর : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি এলাকার ১৩ টি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসি ৬ দফা দাবী নিয়ে মানব বন্ধন করেন। গতকাল ৬ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১০ টায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৩ টি গ্রামের সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে, ফুলবাড়ী-বড়পুকুরিয়া সড়কে ২কিলো ব্যাপী ১৩টি গ্রামের নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, আবাল-বৃদ্ধবণিতাসহ প্রায় ১০হাজার গ্রামবাসি ২ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করেন।
৬ দফা দাবি সমূহ, ১৩ টি গ্রামে কয়লা উত্তোলনের ফলে ফাটল ঘর-বাড়ির উপযুক্ত ক্ষতিপূরন দিতে হবে, বিজিবি কতৃক বোমা বিষ্ফরনের ফলে বাড়ি-ঘরে ফাটলের ক্ষতিপূরণ যথা সময়ে দিতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবার থেকে চাকুরি দিতে হবে ও ক্ষতিগ্রস্থদের কোঠা রাখতে হবে, ফুলবাড়ী থেকে খয়েরপুকুরহাট ও চৌহাটি থেকে ধূলা উদাল পর্যন্ত রাস্তা চলাচলের উপযোগী করতে হবে, বর্ষায় বড়পুকুরিয়া বাজার নিকটস্থ রাস্তা সম্পূর্ণ পানির নিচে ডুবে যায় সুতরাং বিকল্প রাস্তা তৈরি করতে হবে, মসজিদ, কবরস্থান, ঈদগাহ মাঠসহ পূর্বের ৬২৭ একর জমি অধিকগ্রহনকৃত সকল জমির বকেয়া পরিষদ করতে হবে, ৫ মে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্দেশিত পেট্রোবাংলা কয়লা খনি ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে স্বাক্ষরিত ১০ দফা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং আন্দোলনকারি নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো, মোবারকপুর, বৈগ্রাম, কাশিয়াডাঙ্গা, রসুলপুর, কালুপাড়া, মহেশপুর, পাতরাপাড়া, বাঁশপুকুর, বৈদ্যনাথপুর, কাজীপাড়া, হামিদপুর, চৈাহাটি, জব্বরপাড়া।
মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি গ্রামের সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পাতরাপাড়া গ্রামের আহবায়ক মশিউর রহমান বুলবুল, বৈগ্রাম কাশিয়াডাঙ্গার বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, দক্ষিণ মহেশপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম, চক মহেশপুরের লুৎফর রহমান, দক্ষিণ রসুলপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম রতন, আলী হোসেন ও মোবারকপুর গ্রামের গোলজার হোসেন পান্না। বক্তরা বলেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলন করা হবে।