ভোটারদের অনুপস্থিতিতে নিরুত্তাপ ঢাকা সিটির উপনির্বাচন

প্রকাশঃ ২০১৯-০৩-০১ - ০৫:২৭

ঢাকা অফিস : অধিকাংশ দলের বর্জনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনের প্রচারে যেমন উত্তাপ ছিল না, ভোটার উপস্থিতি একবারেই কম হওয়ায় ভোটের দিনেও মেলেনি ভোটের আমেজ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোট চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে নির্বাচনী কর্মকর্তা, পোলিং এজেন্ট আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোটামুটি অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচনের পাশাপাশি ঢাকার দুই সিটির ১৮টি করে মোট ৩৬টি নতুন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট হয় এদিন। পাশাপাশি ঢাকা উত্তরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে হয় উপনির্বাচন। দুই সিটি মিলিয়ে ১ হাজার ৭০০ এর বেশি কেন্দ্রে হয় এই ভোট; সব মিলিয়ে ভোটার রয়েছেন ৪০ লাখের মত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টির মধ্যেই কেন্দ্র খুলে ভোটের আয়োজন সাজিয়ে বসেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। কিন্তু কেন্দ্রে বাইরে ভোটারদের দীর্ঘ লাইনের চিরচেনা সেই ছবি পাওয়া যায়নি কোনো কেন্দ্রেই। ঢাকা উত্তর সিটির মিরপুরে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে (বালক শাখা) বসেছে ছয়টি কেন্দ্রে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনো ভোট পড়েনি বলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা জানান। একটি কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট মালেকা আসেন সকাল ৯টায়। তাকে দেখে আওয়ামী লীগের এক কর্মী বলে ওঠেন, এজেন্ট এত দেরিতে আসলে হবে? এরপর হাসতে হাসতে ভেতরে ঢুকে যান মালেকা। ভোটার না থাকায় এই স্কুলের ৪১৩ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের কক্ষে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মাহফুজুল হক মৃধা ও পলাশ কুমার হাজরাকে সকাল ৯টার সময় খোশগল্পে মেতে থাকতে দেখা যায়। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও দেখা যায় অলস সময় কাটাতে। মাহফুজুল হক মৃধা বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম। বৃষ্টি তো! আর আমার এখানে মহিলা ভোটার। তারা হয়ত রান্না-বান্না করে আসবেন। ৪১৩ ও ৪১৪ নম্বর কেন্দ্রে মোট ভোটর সংখ্যা চার হাজার ৪৯ জন। ভোটের প্রথম ঘণ্টায় এ দুই কেন্দ্রে কেউ ভোট দেননি। কেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে দেখা গেলেও ভোটারদের তথ্য দেওয়ার জন্য তারা কোনো বুথ বা ক্যাম্প খোলেননি। সকাল ৯টার দিকে একজন ভোটার জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এসে ভোট দেওয়ার সুযোগ খুঁজছিলেন। তবে ভোটার নম্বর জানা না থাকায় তিনি ভোট দিতে পারছিলেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ভোটর নম্বর তো পাই নাই। এখন এনআইডি কার্ড দিয়ে চেষ্টা করছি। দেখি নেয় কিনা। এ স্কুলের আরেকটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, তার কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৯২০ জন ভোটার। সকাল ৯টা পর্যন্ত একটি ভোটও পড়েনি। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, বৃষ্টি তো কমতেছে। আস্তে আস্তে হয়ত ভোটাররা আসেবে। মনিপুর স্কুলের বালক শাখার এই কেন্দ্রের সামনে মহিলা আওয়ামী লীগের মিরপুর শাখার সদস্য পারভীন আক্তার বলেন, বৃষ্টি বলে আমরা সকালেই এসেছি। সকালের দিকে এমনিতে সবসময়ই ভোটার কম থাকে। আশা করছি বিকালের দিকে সবাই আসবে। সবাই তো ভোট দেবে। মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ভোট দেন উত্তরার নবাব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে। ওই স্কুলের চারটি কেন্দ্রের মধ্যে দুটিতে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ভোট পড়ে মাত্র দুটি। আতিকুল যখন কেন্দ্রে এলেন তখন সংবাদকর্মী, নির্বাচন কর্মকর্তা আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বেশ ভিড় দেখা গেলেও ভোটার ছিলেন হাতে গোণা। সকাল ১০টা পর্যন্ত আতিকুলের কেন্দ্রে মোট ৫০টি ভোট পড়ে বলে প্রিজায়ডিং কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার বিশ্বাস জানান। উত্তরের ২১ নম্বর ওয়ার্ড সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হয়েছে। মেয়র পদের সঙ্গে কাউন্সিলর পদেও ভোট চলে সেখানে। ফলে প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের বেশ ভিড় দেখা গেছে মেরুল বাড্ডা নিউ নেশন আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রের বাইরে। তবে সকাল ১০টার সময়ও ভেতরে ভোটার ছিল কম। ভোটের ব্যস্ততা না থাকায় এজেন্টরাও ঘোরাফেরা করছিলেন। মোহম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩৭২০টি। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সেখানে ২০টি ভোট পড়ে বলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আলী আকবর জানান। মোহম্মদপুর কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের নারী কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, সেখানে ৩ হাজার ৬৯৩ ভোটের মধ্যে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ২৬টি ভোট পড়েছে। আর ওই স্কুলে বসানো পুরুষদের কেন্দ্রের ৩৮৮২ জন ভোটারের মধ্যে ওই সময় পর্যন্ত ২৯৭ জন ভোট দেন। ঢাকা উত্তরে গুলশানের মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বসেছে চারটি কেন্দ্র। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা প্রমোদ নাথ সাহা বলেন, নারীদের দুটি কেন্দ্রে যথাক্রমে ২০৮৬ এবং ২১০৮ ভোট রয়েছে। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দুই কেন্দ্রে যথাক্রমে ১৫০ ও ৬৩০ ভোট পড়েছে। পুরুষ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বিধু ভূষণ রায় জানান, পুরুষদের একটি কেন্দ্রে ২৫৯৮ ভোটের মধ্যে ৪৫০টি পড়েছে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। আর অন্য কেন্দ্রে ২৪৮৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৫০ জন। মহাখালীর টিঅ্যান্ডটি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের তিন নম্বর কেন্দ্রের ২ নম্বর বুথে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়ে মাত্র একজনের। তবে এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ভোটার সংখ্যা নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে আইইএস উচ্চমাধ্যমিকবিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টায় নিজের ভোট দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোটার তিনি। এই স্কুলের তিনটি কেন্দ্রে যথাক্রমে ২৯২৯টি, ২৪৬৯টি, ৩২৮১টি ভোট রয়েছে। তবে সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে সব মিলিয়ে মোট ৫১টি। এর একটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সঞ্জিত কুমার সাহা বলেন, এখন তো বৃষ্টির দিন। বেলা গড়ালে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত একই রকম অবস্থাই দেখা গেছে।

অনিয়মের অভিযোগ নেই, ছিল হতাশা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ নির্বাচনে কোথাও গোলযোগের কোনো খবর পাওয়া যায়নি, অনিয়মের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগও কেউ করেননি; তারপরও মেয়র পদের প্রার্থীদের কণ্ঠে ছিল হতাশা। এই হতাশা ভোটার না পাওয়ার হতাশা। ভোটাররা কেন কেন্দ্রে আসেননি, তার নানা রকম ব্যাখ্যা এসেছে প্রার্থীদের কাছ থেকে। কেউ বলেছেন বৈরী আবহাওয়ার কথা, কেউ আবার নির্বাচন বর্জন করা বড় দলগুলোকে দুষেছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রহিম মনে করেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের ‘আতঙ্ক’ ভোটাররা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি’। আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে বৃহস্পতিবার এই উপনির্বাচনে প্রার্থী আছেন মোট পাঁচজন। তাদের মধ্যে কেবল রহিমই স্বতন্ত্র প্রার্থী। বাকিরা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, এনপিপি ও পিডিপির মনোনীত। বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনে এ উপ নির্বাচনের প্রচারপর্ব ছিল একেবারেই নিরুত্তাপ। ভোটারদের মধ্যেও এ নির্বাচন খুব বেশি আগ্রহ জাগাতে পারেনি। তার মধ্যে সকালের বৃষ্টির কারণে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। আগের রাতে মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনে অগ্নিকা-ে পোড়া বস্তি এলাকা পরিদর্শন করে সকাল সোয়া ১০টায় ভাসানটেক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যান টেবিল ঘড়ি মার্কার প্রার্থী রহিম। পরে তিনি বলেন, আমি যখন আসি, কেন্দ্র ছিল ভোটারশূন্য। এ কেন্দ্রে আমিই প্রথম ভোট দিয়েছি। গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রভাব পড়েছে এখানে। আগে যেভাবে ভয়ের মধ্যে ছিল, এখনও ভোটারদের মাঝে ভয় রয়ে গেছে। তবে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে এ উপ নির্বাচনে কোনো অনিয়ম দেখেননি বলে জানান এ স্বতন্ত্র প্রার্থী। আব্দুর রহিম বলেন, বড় দলগুলো ভোটে আসেনি। তবুও ক্ষমতাসীন দলের কিছু অতি উৎসাহী লোকের কারণে ভোটার উপস্থিতি নেই। বলা যায়, অতি উৎসাহীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। আমি ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে চেয়েছি; এজেন্ট দিতে চেয়েছি। কিন্তু এজেন্ট হতেই রাজি না অনেকে। আতঙ্ক কাটেনি ভোটারদের মধ্যে। সবার সহযোগিতায় নির্বাচনকে উৎসবমুখর করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমার মত স্বতন্ত্র প্রার্থী অনেক থাকতে হবে। সরকার, দল, ইসি সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। ভোটারদের ভয় দূর করতে হবে। ভোট একটা আন্দোলন; আমি তো ভোট বর্জনে বিশ্বাসী নই। সেজন্য ভোটের আমেজ রাখতে এগিয়ে আসতে হবে। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির প্রার্থী আনিসুর রহমান দেওয়ান সকাল সাড়ে ১০টায় ভোট দেন নয়াটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। তিনি বলেন, ভোটার খুবই কম। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন আমার কেন্দ্রে ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। আমার ভোটকক্ষে আমি সম্ভবত দ্বিতীয় বা তৃতীয় ভোটার। আনিসুর রহমানের ধারণা, উপ নির্বাচন নিয়ে অনাগ্রহের কারণেই উপস্থিতি কম। বৃষ্টিও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। সবাই আছে, শুধু ভোটার কম। বৈরী আবহাওয়ার কারণে জনগণের ভেতরে আগ্রহ নেই। আমি ১৫-২০টি কেন্দ্র ঘুরেছি, সবখানে একই অবস্থা। পিডিপির প্রার্থী শাহীন খান বেলা ১২ টায় রাজধানী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কম। আমার কেন্দ্রে ১৫তম ভোটার হিসেবে আমি ভোট দিলাম। উপ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহও নেই মানুষের। তবে কাউন্সিলরদের ভোট যেখানে সেখানে বেশ আমেজ রয়েছে। কোথাও অনিয়ম দেখেননি জানিয়ে শাহীন বলেন, শেষ পর্যন্ত এই সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে জয়ের বিষয়ে তিনি আশাবাদী। আমার এজেন্ট সবখানে রয়েছে। বেলা ২টা পর্যন্ত ৩৭টি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। দুয়েকটি কেন্দ্রে ছোটোখাটো ঘটনা থাকলেও তা থেমে গেছে। সব মিলিয়ে ৫% এর বেশি ভোট পড়বে বলে মনে হয় না। মেয়র পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাফিন আহমেদের ভাষায়, এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ‘লক্ষ্যণীয়ভাবে কম’। আমি ব্যাখ্যা দিতে পারব না, তবে আশানুরূপ সাড়া দেখতে পাচ্ছি না ভোটারদের মধ্যে। বেলা ১২টা ২০ মিনিটে গুলশানের মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়ে শাফিন বলেন, সকালে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে তিনি কিছু অনিয়ম দেখেছেন। তবে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা না দিয়ে তিনি সে সময় বলেন, আমি মাঠে থাকছি। পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে বিকালে সব জানাব। বৃষ্টিভেজা সকালে প্রায় ভোটারশূন্য কেন্দ্রে নিজের ভোটটি দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম ‘গরম চা আর গরম খিচুড়ি’ খেয়ে সবাইকে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান। জয়ের আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ কেন্দ্রে তুলনামূলকভাবে ভোটার কম। এখানে শুধু মেয়রের ভোট রয়েছে; যেসব এলাকায় কাউন্সিলরদের ভোট রয়েছে তাতে উপস্থিতি ভালো হবে। সবাই আসুন, নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচনের পাশাপাশি দুই সিটির নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদেও এদিন নির্বাচন হয়েছে।