যশোর অফিস : যশোরের মণিরামপুরে রাজিয়া সুলতানা (৩০) নামে এক গৃহবধূর মুখে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করায় মুখমণ্ডল ঝলসে গেছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
রাজিয়া খাতুন মনিরামপুরের বাঙালিপুর গ্রামের কামরুজ্জামানের স্ত্রী এবং একই উপজেরার কাশিপুরগ্রামের মনির উদ্দিনের মেয়ে।
রাজিয়া বলেন, ‘আমি মাস্টার্স শেষ করে চাকরি খুঁজছি। আমার স্বামী কামরুজ্জামান ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালায়। স্বামী আমাকে চাকরি করতে দেবে না। এই নিয়ে আমাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়ে আসছিল। বুধবার সকালে আমি বাপের বাড়িতে বসে ছিলাম। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্বামী আমার চোখ-মুখ লক্ষ্য করে অ্যাসিড জাতীয় কিছু নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। চোখ-মুখ ঝলসে যাওয়ায় আমার চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে আসে। তারা আমাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।’
হাসপাতালের চোখের ডাক্তার নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, অ্যাসিড জাতীয় দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপের ফলে রাজিয়ার মুখ ও চোখ ঝলসে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
মণিরামপুর থানার ওসি মোকাররম হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় চৌকিদারের (গ্রামপুলিশ) কাছ থেকে বুধবার বিকেলে ঘটনা শুনেছি। পরে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। মেয়েটির স্বামী কামরুজ্জামান পালিয়ে যাওয়ায় তাকে ধরা যায়নি।’ রাজিয়ার পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।