মফস্বলের সংবাদকর্মীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছে

প্রকাশঃ ২০২০-০৪-০৮ - ১৯:১৮

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটাঃ কারোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, মাঠ প্রশাসন, ডাক্তার সহ করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিতদের স্বাস্থ্য বীমার ঘোষনা দেওয়ায় সকলে ধন্যবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থেকে দায়িত্ব পালন করে সরকারের সকল পদক্ষেপ এর প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে যে, সকল সংবাদকর্মীরা তাদের জন্য কোন কিছু ঘোষনা না দেওয়া সংবাদকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে জেলা পর্যায়ের সংবাদকর্মীরা কেন্দ্রীয় ও জেলা ভিত্তিক কিছু জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের ব্যুরো ও স্ট্যাফ রিপোর্টারেরা সামান্য বেতন-ভাতা পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এতে তাদের ছেলে-মেয়ে, মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের লেখাপড়া, বাজার-ঘাট, পোষাক-পরিচ্ছদ ও চিকিৎসা খরচে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অথচ সবার আগে সদ্য খবরটি প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মাঝে পৌঁছিয়ে দেয় এ সকল সংবাদকর্মীরা। অপর দিকে উপজেলা পর্যায়ে অর্থাৎ মফস্বলের সংবাদকর্মীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছে দিনের পর দিন। এর জন্য কোন প্রকার বেতন-ভাতা ছাড়া সম্পূর্ণ স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে পকেটের টাকা খরচ করে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে সরকার ও সাধারণ মানুষের মাঝে প্রচার করে চলেছে মফস্বলের সংবাদকর্মীগণ। এদের কথা কেউ ভাবছে না, এদের ছেলে-মেয়ে সহ পরিবার পরিজন আছে; তাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণের অধিকার আছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কোন প্রকার বেতন-ভাতা সহ নানা সমস্যা নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে মফস্বল সংবাদকর্মীরা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সরকারের প্রতিটি ঘোষণার সাথে একাত্ত্বতা ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকান্ডে সংবাদ সংগ্রহ করে পত্রিকা ও অনলাইনের মাধ্যমে প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছিয়ে দিচ্ছে। মফস্বলের সংবাদকর্মীরা কোন প্রতিষেধক ও বেতন-ভাতা ছাড়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের সাথে একযোগে কাজ করছে। তাই ওদের কোন কিছু ঘটে গেলে পরিবারের সদস্যদের কি হবে তা কেউ ভাবছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা পর্যায়ের মফস্বল সংবাদকর্মীদের বেতন ও ঝুঁকি ভাতা অথবা স্বাস্থ্য বীমা আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবী জানিয়েছে।