মোংলায় এখনও কেউ করোনা সনাক্ত হয়নি

প্রকাশঃ ২০২০-০৬-১৩ - ১৩:৩৭
corona

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : মোংলার ঠিকানায় করোনা পজিটিভ সনাক্ত হওয়া গৃহিনী তামান্না আক্তার (১৬) মুলত খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর গ্রামের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা। তার স্বামী নাইম ফরাজী (৩০) ডুমুরিয়া-চুকনগর রুটে অটো গাড়ী চালান। এর আগে তারা ঢাকার নারায়ণগঞ্জে ছিলেন। সেখানে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনার ডুমুরিয়ার চুকনগরে চলে আসেন। চুকনগরে এসে অসুস্থ্যতাবোধ করলে গত ৮ জুন তামান্নার করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা দেন। এরপর ১২ জুন তার দেয়া নমুনা রিপোর্টে করোনাভাইরাস পজিটিভি সনাক্ত হয়। তামান্না বর্তমানে চুকনগরের ভাড়া বাড়ীতেই অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী নাইম ফরাজী। তামান্নার পিতার বাড়ী মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের চৌরিডাঙ্গা গ্রামে। চৌরিডাঙ্গার একরাম মল্লিকের কন্যা তিনি। জন্ম নিবন্ধনে তামান্নার পিতার বাড়ীর ঠিকানা মোংলায় হওয়াতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার করাতে গিয়ে তিনি মোংলার ঠিকানা দেন। যার কারণে খুলনা মেডিকেল কলেজের করোনাভাইরাস সনাক্ত করণ ইউনিট থেকে তামান্নার পরিচয় মোংলার উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে তার স্বামী নাইম ফরাজী মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের গোয়ালেরমেঠ গ্রামের শহিদ ফরাজীর ছেলে। স্বামী-স্ত্রী উভয়রেই পিতার বাড়ীর একই ইউনিয়নে। তবে তামান্না ও নাইম দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের পিতার বাড়ী মোংলার মিঠাখালীতে আসেননি বলে জানিয়েছেন মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো: ইস্রাফিল হাওলাদার।
এদিকে শুক্রবার খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে দেয়া তথ্যে মোংলার চৌরিডাঙ্গার তামান্না আক্তারের (১৬) করোনাভাইরাস পজিটিভ সনাক্ত ঘোষণার খবরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে মোংলার বাসিন্দাদের মধ্যে। পরবর্তীতে খোঁজখবরে জানা যায়, তামান্না দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাড়ীতে আসেননি এবং তিনি বসবাস করেন মোংলার বাহিরে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। এরপর থেকে মোংলার জনসাধারণ কিছুটা হলেও করোনা মহামারীর আতংক থেকে স্বতির নি:শ্বাস ফেলেছেন।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত মোংলার স্থায়ী কিংবা বাহির থেকে আসা এমন কারো করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়নি। মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, এ পর্যন্ত মোংলা থেকে ৩৮ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ৩৭টি নেগেটিভ এসেছে। বাকী একটির রিপোর্ট এখনও আসেনি।