মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র চালু, সার্ভিস বুক প্রদাণ ও শতভাগ খাদ্য ভাতা প্রদাণসহ ১১ দফা দাবীতে মধ্যরাত থেকে মোংলা বন্দরসহ সারাদেশের নদীপথে পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকেরা অনির্দিষ্টকালে কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো: বাহারুল ইসলাম বাহার জানান, এই ১১ দফা দাবী নিয়ে গতরাতে ঢাকায় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের সাথে মালিক ও শ্রমিকদের বৈঠক হয়। গভীর রাত পর্যন্ত এ বৈঠক হলেও তা ফলপ্রসু হয়নি। তাই গত মধ্যরাত থেকে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালে কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, ১১ দফা দাবী নিয়ে গত দুই বছরে নৌযান শ্রমিকেরা ৩ বার কর্মবিরতি পালন করেছে। এরপর শ্রমপ্রতিমন্ত্রীর সাথে মালিক-শ্রমিক বৈঠকে দাবী মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও তা মেনে নেয়নি মালিক সমিতির কতিপয় নেতৃবৃন্দ। যার প্রেক্ষিতে ৪র্থ দফায় মধ্যরাত থেকে আবারো কর্মবিরতি পালন শুরু হয়েছে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। তবে তিনি বলেন, কর্মবিরতি পালন করছেন পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকেরা। কর্মবিরতির আওতায় থাকছে না যাত্রীবাহী নৌযান। সারাদেশে প্রায় ৩০ হাজার পণ্যবাহী নৌযানের ৩ লক্ষাধিক শ্রমিক এ কর্মবিরতি পালন করছে। তিনি বলেন, নৌযান মালিক সমিতির কতিপয় নেতৃবৃন্দ দাবী পূরণ না করে নানা ধরণের তালবাহনা করে আসছেন। আর এতে করে নৌযান শ্রমিকেরা করোনাকালে পরিবারপরিজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছে।
এদিকে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি শুরু হওয়ায় বন্দরের পণ্য বোঝাই-খালাস কাজ স্বাভাবিক রাখতে নৌযান শ্রমিকদের স্থানীয় নেৃতবৃন্দের সাথে বৈঠকের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান। তিনি আরো বলেন, কর্মবিরতিতে প্রভাব তো একটু পড়বেই। বিশেষ করে বন্দরের আউটারবারে যেসকল জাহাজ রয়েছে সেগুলো থেকে খালাস ও পরিবহণ বন্ধ হয়ে যাবে। তারপরও বিষয়টি যাতে দ্রুত সুরহা করা যায় সেজন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি সমাধান হয়ে যাবে।