মোংলা প্রতিনিধি : মোংলায় একটি বাড়ী জবর-দখলে নেয়ার জন্য ফিল্মি ষ্টাইলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুরসহ ৩ নারী-পুরুষকে বেদম মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করা হলেও রহস্যজনক কারণে তাদেরকে পরবর্তীতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় লোকজন ও মোংলা থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন হাসপাতাল রোড এলাকার মো: জাহাঙ্গীর হোসেন ও লিটন শিকারীর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একদল দুর্বৃত্ত সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মোংলা বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ সংলগ্ন পশু হাসপাতাল সড়কের মো: তারিকুল মৃধা ও আঃ কুদ্দুসের বাড়ি দখলে নেয়ার চেষ্টায় হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা তারিকুলের বাড়ীতে প্রবেশ করে বসত ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। হামলাকারীরা শুধু ভাংচুর করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, বেপরোয়া মারধর করে আহত করেছে বাড়ীর মালিক তারিকুলের বড় ভগ্নিপতি আঃ কুদ্দুস, ছোট ভগ্নিপতি মো: ইব্রাহিম হোসেন ও তার বোন স্কুল শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিনকে। সন্ত্রাসীদের হামলায় আঃ কুদ্দুসের হাত ও পা ভেঙ্গে যায়। আহতদেরকে উদ্ধার করে তাৎক্ষনিকভাবে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও উন্নত চিকিৎসার কুদ্দুসকে সকালেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ইব্রাহিম ও সাবিনা। হামলা-ভাংচুরের বিষয়ে তারিকুল মৃধা বলেন, জাহাঙ্গীর ও লিটনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে একটি ঘর পুরোপুরি ও অপর আরেকটি ঘরের আংশিক ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলে। এতে বাধা দিতে গেলে তার বোন ও ভগ্নিপতিকে বেদম মারপিট করে সন্ত্রাসীরা। তিনি আরো বলেন, মুলত আমার বাড়ীটি দখল করে নেয়ার জন্যই জাহাঙ্গীর ও লিটন এই হামলা এবং ভাংচুর চালিয়েছে। এ বিষয়ে মোংলা থানার সেকেন্ড অফিসার মো: আকরাম হোসেন বলেন, এটা তেমন কোন কিছু না, যাদেরকে ধরে আনা হয়েছিল তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।