মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ মোল্লাহাটে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীসহ ৪ব্যক্তি যখম হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষ গ্যাঞ্জামের বিষয় শিকার করলেও মুক্তিযোদ্ধা যখমের বিষয়টি পূর্বের দুর্ঘটনা বলে দাবী জানিয়েছে। উপজেলার দারিয়ালা গ্রামে শুক্রবার বিকেলে ওই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা সিকদার সিরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্যরা মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানিয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করছে। যখমীরা হলেন, মুক্তিযোদ্ধা সিকদার সিরাজুল ইসলাম (৬৫) মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৫), সুমন সিকদার (২২), ও সিকদার তরিকুল ইসলাম (৩৫)। ভিকটিম পক্ষ জানায়, গত বছর রমজানে নির্ধারিত তারিখে মসজিদে ইফতারি দেওয়ার পূর্বে অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হণ মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম। যে, কারনে ওই দিন ইফতারী দেওয়া সম্ভব হবে না বলে স্থানীয় মসজিদের সভাপতি সিকদার বকুলকে জানায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মোঃ বাবর। এর দুই দিন পর ইফতারি করতে মসজিদে গেলে বাবরকে ধরে পিটায় সভাপতি বকুলের দুই ছেলে। সভাপতির কাছে ওই ঘটনার নালিশ দিতে যাওয়ায় বাবরের চাচা আবু সাঈদকেও মারিপিট করে প্রতিপক্ষ। ওই সকল ঘটনার প্রতিবাদ করায় আবু সাঈদের ছেলে লিমন (৩৫)’র হাতের কব্জি কেটে ফেলাসহ সিমাহীন অত্যাচার নির্যাতন করে প্রতিপক্ষ। এরপর মামলা হলে ওই মামলা প্রত্যাহারের জন্য অব্যাহত হুমকী দিয়ে আসছে তারা। কোন প্রকারে মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে মামলার বাদীসহ কয়েক পরিবারে/বাড়িতে হামলা চালায় আসামী পক্ষ। ওই হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে।
প্রতিপক্ষের উজির সিকদার ও তার পিতা বাশি সিকদার জানায়, শুক্রবারে গ্যাঞ্জাম হয়েছে, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা যখম হয়নি, এর একদিন আগে খাটের থেকে পড়ে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ যখম হয়, স্থানিয় ডাঃ দিয়ে তাকে চিকিৎসা করানো হচ্ছিলো। এখন গ্যাঞ্জামের সুযোগে তাকে এতে জড়ানো হচ্ছে।
ওই ঘটনায় উভয়পক্ষই যথাযথ তদন্ত দাবী করছেন।
মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ কাজি গোলাম কবীর জানান-তিনি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন, নিছক ঢিল ছোড়ার ঘটনাকে বাড়া-বাড়ির চেষ্টা করা হচ্ছে।