মোল্লাহাটে লাইসেন্স ছাড়া’ই চলছে “সুরক্ষা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার” !

প্রকাশঃ ২০২০-০৮-১৩ - ১৬:৪৯

মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : মোল্লাহাটে প্রাতিষ্ঠানিক কোন সুরক্ষা বা লাইসেন্স ছাড়া’ই দীর্ঘদিন ধরে প্রায় সকল প্রকার রোগের পরীক্ষার নামে সাধারণ মানুষের থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে ‘সুরক্ষা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার’ এর বিরুদ্ধে। মোল্লাহাটের চুনখোলা বাজারে ভাড়া করা ঘরে ভূয়া ওই প্রতিষ্ঠান খুলে দীর্ঘদিন ধরে প্রতাড়না চালাচ্ছেন পার্শ্ববর্তী কালিয়া উপজেলার পাখিমারা এলাকার প্রণব কুমার বাকচি ওরফে ডাঃ পি,কে, বাকচি।
ওই বিষয়ে তথ্য সংগহে গেলে প্রণব কুমার বাকচি প্রথমে লাইসেন্স থাকার কথা বলেন, এরপর বলেন মৌখিক অনুমতি আছে এবং লাইসেন্স’র জন্য কাগজপত্র জমা দেয়া হয়েছে বাগেরহাট সিভিল সার্জন অফিসে। এছাড়া ওই অফিসের জনৈক নাসির তাকে যাবতীয় সহযোগিতা করছেন বলেও জানান তিনি। ওই সময় তার দেয়া মোবাইল নং ০১৭১৭৮৬২২৯৫-এ কল করলে সিভিল সার্জন অফিসের নাসির বলেন-অনেক আগে আসছিলো, পরবর্তিতে আর যোগাযোগ করে নাই, আর ওদের কোন লাইসেন্স নাই। কেউ বিপদে পড়লে আমার বা আপনার কথা বলবে বাচার জন্য। তা ছাড়া আবেদন করতে হয় অনলাইনে। নাসির এর ওই কথা শোনার পর প্রণব কুমার বলেন, তিনি নাসিরকে চার বারে বিশ হাজার টাকা দিয়েছেন কাগজপত্র/লাইসেসন্স করতে। এছাড়া মটরসাইকেলের তেল খরচ বাবদ আরো দুই হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। তার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে যে,সকল স্টাফ-ডাক্তার ও টেকনোলজিষ্টসহ নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদেরও কাগজপত্র জমা দিয়েছেন বলেও দাবী করেন তিনি। পরবর্তিতে টাকার বিষয়ে জানার জন্য উক্ত নম্বরে বার বার কল করলেও রিসিভ না করায় এমনকি বাগেরহাট সিভিল সার্জন অফিসে গিয়েও না পাওয়ায় নাসির এর আর কোন বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয় নাই।
লাইসেন্স-ডাক্তর-টেকনোলজিস্ট ছাড়া কিভাবে রোগের পরীক্ষা করেন ও রিপোর্ট দেন এমন প্রশ্নোত্তরে প্রণব কুমার বলেন-করোনার কারনে টেকনোলজিস্ট ও ডাক্তার সব সময় থাকেন না। তবে, প্রয়োজনে ফোন করলে তাৎক্ষণিক চলে আসেন। ডাক্তার ও টেকনোলজিস্টের মোবাইল নম্বর দিতে পারে নাই তিনি। কারন যে সেটে নম্বর সেভ করা আছে, সেই সেটটি তিন নাকি ভুল করে বাড়িতে রেখে আসছেন।
সচেতন মহল বলেন-এভাবে প্রকাশ্যে সাধারন মানুষের সাথে প্রতাড়নার ধৃষ্ঠতা দেখানোর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত জরুরী আইনানুগ ব্যবস্থা গস্খহণ করা। অন্যথায় প্রতাড়করা আরো বেশি পেয়ে বসবে এবং রোগ নির্নয়ের নামে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন-এই প্রথম তিনি সুরক্ষা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কথা জানলেন। তার জানামতে এবং তালিকায় ওই প্রতিষ্ঠানের নাম নাই। তিনি সরেজমিনে যাবেন এবং যথাযথো ব্যাবস্থ্যা নিবেন বলেও জানান।