মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ মোল্লাহাটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোল্লাহাট উপজেলায় মোট চার জনের করোনা সনাক্ত হলো। করোনা সনাক্ত হওয়ায় পুলিশে চাকুরীরত ছেলেসহ ওই পরিবারের চার সদস্যের সকলকে লকডাউন / হোম-কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। উপজেলার সরসপুর গ্রামে ওই শিক্ষকের বাড়ি, তিনি একজন পুরুষ (৬০) । তিনি পায়ে ব্যাথার কারনে গত ৩ তারিখে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হণ। চিকিৎসা দেয়ার পরও তার ব্যাথা না কমায় ওই হাসপাতাল থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এর পর পিসিআর ল্যাবের রিপোর্টের মাধ্যমে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে করোনার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর ওই রাতেই অনুমান ৪’টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে আসেন ওই রোগী ও তার সাথের স্ত্রী-সন্তান। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ওই লকডাউন করেন। লকডাউনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফ্ফারা তাসনীন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, এ অবস্থা থেকে নিরাপদ থাকতে সচেতনতা/সাবধানতার বিকল্প নাই।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ আব্দুল আউয়াল, উপ-পুলিশ পরিদর্শক মিলন কুমার, প্রেসক্লাব মোল্লাহাটের সহ-সভাপতি শরীফ মাসুদুল করিম ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিহাদ শিকদার প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনের ধারাবাহিক মেহমান আনা-গোনার মধ্যদিয়ে সোমবার করোনা সনাক্ত ব্যক্তির আপন ভাতিজা পুলিশে চাকুরীরত শুভ’র বিবাহ হয় বলে এলাকাবাসী জানায়, যা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। কারণ একই সাথে ওই রোগীর কাছে যাতায়াত এবং বিয়ের যোগান দিয়েছে যারা, তারা সকলে লকডাউনের আওতায় আসছে ঠিকই, কিন্তু ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চলা-ফেরা করছে এমন কেউ বাদ পড়ল কি ?
এ বিষয়ে ওই রোগীর ছেলে পুলিশে কর্মরত নয়ন মোবাইল ফোনে জানান, তিনিসহ তার পরিবারের সকলে হাসপাতালে ছিলেন এবং বিয়ের কাজ সম্পন্ন হলে পরে তারা বাড়িতে আসছেন।