যশোর: যশোরের এক নারীকে ঝিনাইদহের বাইপাস মোড়ে বাস থেকে প্রকাশ্যে টেনে হিছড়ে বের করে অপহরণের উদ্দেশ্যে মারপিট করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। বুধবার বিকাল পৌনে চারটার দিকে বিধান ওরফে রিধানসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও তিনচারজন যুবক এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আক্রান্ত নারী নমিতা রানী রায় যশোর ঝুমঝুপুর চান্দেরমোড় এলাকার মৃত. নিরঞ্জন রায়ের মেয়ে। বিধান ওরফে রিধান ঝিনাইদহের আরবপুর পবহাটি এলাকার রমেন বিশ্বাসের ছেলে। তার ঝিনাইদহের পায়রা চত্ত্বর এলাকার জামালসুপার মার্কেটের দেশ ফ্যাশান নামে এক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে নমিতা রানী রায় জানান, তার স্বামী বিধান ওরফে রিধানের বিরুদ্ধে যশোরের পারিবারিক আদালতে মামলা চলছে। ওই মামলায় আদালত তার স্বামীর বিরুদ্ধে মালক্রোকের জন্য ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে আদেশ দিয়েছেন। তিনি আদালতের তামিলের আদেশ নেয়ার জন্য বুধবার সকালে ঝিনাইদহ সদর থানায় যান। ওই তামিলের আদেশ নিয়ে ঝিনাইদহের টার্মিনাল এলাকা থেকে যশোরের যাওয়ার উদ্দেশ্যে রূপসা পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। বাসটি ঝিনাইদহ বাইপাস মোড়ে পৌছুলে তার স্বামী বিধান ওরফে রিধানসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে আরো তিনচারজন যুবক তাকে প্রকাশ্যে বাস থেকে টেনে হিছড়ে নিচে নিয়ে মারপিট করে মাইক্রোতে উঠতে বলে। সে উঠতে না চাইলে হাত,পা, হাটু, বুকে, পিঠে আবারও মারপিট করে চুল টেনে হিচড়ে উঠানোর চেষ্টা করে। দুর্বৃত্ত্বরা এসময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নগদ ১ হাজার ৫শ টাকা, স্বর্ণের অলংকার ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয় সেলিম নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য যশোরের প্রেরণ করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার কল্লোল কুমার সাহা বলেন, নমিনা রানী রায় আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন তবে তার অবস্থা আশংকামুক্ত।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইন চার্জ মো. এমদাদুল হক শেখ নমিতা রানীকে মারপিট, টাকা পযসা ছিনিয়ে ঘটনার কথা শুনেছেন স্বীকার করে বলেছেন, ইজাহার দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।