যশোর অফিস : যশোরের অভয়নগরের শংকরপাশা গ্রামের যুবক সাগর রায়কে হত্যার অভিযোগে শ্বশুর-শাশুড়িসহ ৭জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। সোমবার নিহত সাগর রায়ের বাবা বাবুল কুমার রায় বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শাজাহান আলী অভিযোগটি গ্রহণ করে অভয়নগর থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- শংকরপাশার প্রদীপ খাঁ স্ত্রী জয়ন্তী খাঁ ছেলে শিমুল খাঁ মেয়ে অনামিকা খাঁ, আনন্দ দাসের স্ত্রী বিমলা দাস ছেলে বিকাশ দাস ও স্ত্রী শিবরা দাস।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, সাগর রায় একই গ্রামের শুক্লা রায়কে ভালোবাসতেন। শুক্লার পরিবার ধনী হওয়ায় তাদের এ ভালোবাসা মেনে নেয়নি। দেড় বছর আগে সাগর-শুক্লা পালিয়ে বিয়ে করেন। শুক্লার পরিবার তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
একপর্যায়ে এক শালিসে শুক্লার বিয়ের বয়স পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বাবার বাড়িতে থাকবে বলে নিয়ে যায়। সাগর তার শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। গত ২ জানুয়ারি সকালে স্ত্রী শুক্লা ফোন করে সাগরকে তাদের বাড়িতে যেতে বলেন। সাগর তাদের বাড়িতে গেলে নাস্তা করতে দেয়। এরপর শুক্লাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সাগর।
প্রথমে অভয়নগর ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাগর।
আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সাগর রায়কে নাস্তার সঙ্গে কীটনাশক খাইয়ে হত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়ায় তিনি সোমবার আদালতে এ মামলা করেছেন।