যশোরে আশ্রমের অধ্যক্ষসহ চারজনকে পিটিয়ে জখম

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-০৫ - ২০:২৫

যশোর অফিস: যশোরের মণিরামপুরের বাহাদুরপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও ঘেরে পানি সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে একটি আশ্রমের অধ্যক্ষসহ চারজনকে পিটিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। রোববার গভীর রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন মণিরামপুর বাজার এলাকার মৃত মদন মোহন দাসের ছেলে বাহাদুরপুর তপোবন আশ্রমের অধ্যক্ষ গৌতম দাস মহারাজ (৪৬), বাহাদুরপুর এলাকার রঞ্জন দাসের ছেলে চন্ডি দাস (২৮), নিমাই দাসের ছেলে রাজেন দাস (৪৫) ও রাজেন দাসের স্ত্রী নমিতা রানী দাস (৪০)।

আহতদের মধ্যে গৌতম দাস ও নমিতা দাস যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুইজন মণিরামপুর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত গৌতম দাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

মণিরামপুর থানার ওসি মোকাররম হোসেন বলেন, আশ্রমে হামলার ঘটনা সঠিক নয়। ঘেরের পানি সেচকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আশ্রমের অধ্যক্ষসহ কয়েকজনকে বাঁশির লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। মহারাজ গৌতম জানান, বাহাদুরপুরের তপবোন আশ্রমের প্রতি স্থানীয়দের অনাস্থা ও অনীহা ছিল। আশ্রমে মানুষ আশা যাওয়া করতো না। কয়েক বছর ধরে গৌতম মহারাজ সেখানে গিয়ে আশ্রমের দায়িত্ব নেয়ার পর দলমত নির্বিশেষ মানুষ সেখানে আসা যাওয়া শুরু করেন। এই দেখে স্থানীয় হরিদাস মল্লিক মাষ্টার নামের এক ব্যক্তি আশ্রমে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেন। ফলে তার সাথে হরিদাস মল্লিকের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে হরিদাসের নেতৃত্বে স্থানীয় রবিউল, আলিম, ইসলাম, আরিফ, হাবিবুল্লাসহ ৪০/৫০ জন রাতে আশ্রমে হামলা করে তাদের মারপিট ও ভাংচুর চালায়। আহতদের মধ্যে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, আশ্রমের পাশে একটি বড় মাছের ঘের রয়েছে। যেখানে মাছের চাষ হয়। এই ঘের নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল।  রোববার পাম্প দিয়ে পানি সেচের কাজ চলছিল। এসময় একপক্ষ এসে পাম্প বন্ধ করে দেন। পাম্প বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

যশোর সদর হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডের চিকিৎসক অজয় কুমার সরকার বলেন, ‘আহতদের মাথার আঘাত প্রচন্ড। সিটিস্ক্যান করা হয়েছে। একজনের হাত ভেঙ্গে গেছে। ২৪ ঘন্টা পার না হলে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে আশ্রমের অধ্যক্ষসহ ৪জন আহতের ঘটনায় হাসপাতালে দেখতে যান মনিরামপুর উপজেলার চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, পূজা উদযাপন পরিষদের যশোর জেলা শাখার সম্পাদক যোগেশ চন্দ্র দত্ত্, যশোর সদর উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথসহ আওয়ামীলীগ, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।