যশোর: যশোরের কেশবপুরের এতিমের সম্পত্তি জোর করে ভোগদখলসহ নানা অনৈতিকতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন ধর ভুমিদস্যুদের রোষানলে পড়ে ওই এতিম পরিবারটি পথে বসতে চলেছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, কেশবপুরের পাচারই গ্রামের নইমুদ্দিন মোড়লের ছেলে আব্দুল হামিদের রোষানলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে একই গ্রামের মৃত হাসান আলীর এতিম দুই ছেলে বাপ্পা ও শাকিল মোড়ল। হাসান আলীর মৃত্যুর পর তার বসত ভিটার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে আব্দুল হামিদের। পাচারই মৌজার ৭০ খতিয়ানে ১৩৩৪ দাগে অবস্থিত ওই বাড়ির ১১ শতক জমির মধ্যে তার ৪ শতক জমি রয়েছে বলে প্রায় ১৩ বছর একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে আব্দুল হামিদ। বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকায় একাধিকবার ওই মামলায় তিনি হেরে গেছেন। তারপরও নতুন করে মামলার জালে ফেলে এতিম ওই পরিবারটিকে সর্বশান্ত করে ফেলেছেন। মামলার টাকা জোগায় করতে পিতৃহারা ওই দুই এতিমের বর্তমানে করুন অবস্থা ।
সুত্র বলছে, আব্দুল হামিদ প্রভাবশালী। তার অর্থবিত্তেরও অভাব নেই। তিনি নাশকতার অর্থ যোগাদাতাও। দরিদ্র ওই এতিমের বাড়ির পাশে থাকা অপর একটি জমির গাছ কাটাসহ জোরপূর্বরক ভোগদখল করে যাচ্ছেন তিনি । এ ক্ষেত্রে তিনি স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে ফেলেছেন। কিছু দিন আগে এক এতিমকে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় থানার দারোগা নাজিম উদ্দিন। পরে স্থানীয়দের চাপে পড়ে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সুত্র বলছে, সম্প্রতি ওই এতিম পরিবারটি আব্দুল হামিদের হয়রানিমুলক মামলা থেকে রেহাই পেতে এসপি ক সার্কেলের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একজন আইনজীবীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। কিন্তু আব্দুল হামিদ মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাকেও ম্যানেজ করে ফেলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে বিচারের নামে প্রহসনে শিকার হয় ওই এতিম পরিবারটি। উল্টো পুলিশ হয়রানির তাদে হয়রানি করে। ওই এতিম পরিবারের সদস্যরা ভূমিদস্যুর ষড়যন্ত্রমুলক মামলা থেকে রেহাই পেতে যশোর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও ওই পরিবারটিকে হয়রানি না করারর জন্য ওই অভিযোগপত্রে সুপারিশ করেছে। তারা আব্দুল হাইকে আটক করে তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আব্দুল হাই বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা আপনারা ঘটনাস্থলে আসেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কেশবপুর থানার এ এস আই আজিম উদ্দিন বলেন, ওই এতিম পরিবারটি অসহায়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে জেনেছি। বর্তমানে থানার সেকেন্ড স্যার বিষয়টি দেখভাল করছেন।