যশোর: যশোর সদর উপজেলার আন্দোলপোতা গ্রামের আজিজুল সরদান (৩২) নামে এক কৃষক খুন হয়েছে। খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীকে আটক করেছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই নিচার আলী সরদার বাদি হয়ে আটক তরিকুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন উল্লেখ করে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলার দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৭ তারিখ ৫/৩/১৮ ইং। আজিজুল আন্দোলনপোতা গ্রামের আলাউদ্দিন সরদারের ছেলে।
নিহত আজিজুল সরদারের চাচা শোর জেলার সাবেক স্যানিটারি ইনসপেক্টর শাহজাহান আলী সাংবাদিকদের জানায়,আজিজুল একজন কৃষক। সে আন্দোলপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী তরিকুল ইসলামের কাছে র্দীঘদিন যাবত ১লাখ ৩৬ হাজার টাকা পেত। উক্ত টাকা লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার ৪ মার্চ রাত আনুমানিক ৯ টায় তরিকুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে আজিজুল সরদারের কাছে ফোন করে টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেয়। আজিজুল সরদারকে আন্দোলপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ডাকলে টাকা আনতে আজিজুল সরদার ওই রাতে যান। রাত আনুমানিক ৯ টার পর থেকে আজিজুল সরদারের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে বের হয়। সোমবার রাত আনুমানিক ২ টায় পুলিশ উক্ত বিদ্যালয়ের সেফটি ট্যাংকের ভিতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ ওই বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী তরিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। তরিকুল ইসলাম এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে পুলিশের কাছে প্রথম পর্যায় মুখ খোলেনি। আজিজুল সরদারকে উক্ত বিদ্যালয়ের একটি কক্ষের মধ্যে নিয়ে ৫/৬জন সংঘবদ্ধভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। আজিজুল সরদার সুদের কারবার করতো। তরিকুর ইসলাম তার কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে ফেরত দেওয়ার নানা ভাবে তালবাহনা করছিল। আজিজুল সরদারকে হত্যা করতে দেনাদারগন সংঘঠিত হয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করেছে। নিহত আজিজুল সরদারের গলায়,ঘাড় ও কপালে অস্ত্রের আঘাতের বেশ কয়েকটি চিহ্ন রয়েছে। কোতয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আবুল বাশার মিয়া সাংবাদিকদের জানান, রোববার রাতে আজিজুল সরদার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অভিযোগে পুলিশ ওই বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী তরিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। সে আন্দোলপোতা গ্রামের আয়নাল বিশ্বাসের ছেলে। গতকাল নিহতর ভাই নিছার আলী সরদার বাদি হয়ে তরিকুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানাগেছে।