যশোর অফিস : যশোর শহরের নীলগঞ্জের গ্লাসের দোকানদার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাঁদা পরিশোধ না করায় দুর্বৃত্ত্বরা দেকোনের ম্যানেজারকে মারপিট করেছে। এসময় দোকান মালিকের ছেলে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করা হয়েছে। এসময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে দুর্বৃত্ত্বরা দোকান থেকে ৬০ হাজার টাকা লুট করে চলে যায়। স্থানীয়রা ম্যানেজার নুর ইসলামকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। দোকানের মালিক মুক্তার হোসেন যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানার নীলগঞ্জ এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী কাদের ওরফে টাক কাদেরসহ অজ্ঞাত ২/৩জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
দায়েরকৃত অভিযোগে বলা হয়েছে, কাদের ওরফে টাক কাদের ও তার সহযোগীরা নীলগঞ্জ সুপারীবাগানের সাগর থাই এ্যালুমিনিয়াম এন্ড গ্লাস সেন্টারে প্রায় যায় এবং ১হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে জীবনে শেষ করার হুমকি দেয়। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কাদের ওরফে টাঁক কাদের অজ্ঞাত পরিচয়ে আরো দুইতিনজনকে নিয়ে সাগর থাই এ্যালুমিনিয়াম এন্ড গ্লাস সেন্টারে যায়। তখন দোকানের ম্যানেজার নুর ইসলাম হিসাব করছিলেন। কাদের তখন ১ হাজার ৫শ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপরাগতা জানালে স্টীলের পাইপ দিয়ে হাত, পা, কোমরে মারপিট করে। এসময় দোকান মালিক মুক্তার হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে। মারপিট করার এক পর্যায়ে তারা চিৎকার দিলে স্থানীয় ছুটে আসে। কাদের ক্যাশবাক্স থেকে ৬০ হাজার টাকা লুট করে চলে যায়। স্থানীয়রা নুর ইসলামকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
এ ঘটনায় দোকানমালিক মুক্তার হোসেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার সকালে থানার এএসআই আমিনুর রহমান অভিযান চালিয়ে কাদের ওরফে টাক কাদেরকে আটক চেষ্টা করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কাদের ওরফে টাক কাদেরের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য একাধিক অভিযোগ রয়েছে।