রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর : যশোর ঝিনাইদহ মহাসড়কে প্রকাশ্যে বেরিকেড দিয়ে প্রায় সাড়ে ৯লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনা আদালতের নির্দেশে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ এজাহার হিসেবে নথিভূক্ত করা হয়েছে। কোতয়ালি মডেল থানার মামলা নং ৬৫ ধারা ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড। তারিখ ১৮/১২/১৭ ইং। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি মডেল থানার এসআই খবির হোসেন। ডাকাতি মামলা রেকর্ড হলেও পুলিশ লুন্ঠিত টাকা উদ্ধার করতে পারেনি।
যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত সরজিত মজুমদারের ছেলে বর্তমানে যশোর শহরের গাড়ীখানা রোড (এক্সিকিউটিভ রিক্স ম্যানেজমেন্ট জেন ইন্টার ন্যাশনাল লিমিটেড ৩৭ রোকন টাওয়ারের বিকাশের ডিষ্ট্রিবিউটর সত্য নারায়ণ মজুমদার আদালতে দায়েরকৃত পিটিশনে উল্লেখ করেন, গত ৩ ডিসেম্বর সকালে আরিচপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে জেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ৩৪ নং রুটে ক্যান্টমেন্ট এলাকার ডিএমও আবু সাঈদ সবুজ ওই এলাকার বিকাশ পয়েন্ট থেকে টাকা কালেকশন করে। সর্বশেষ ক্যান্টনমেন্ট মাধঘোপা কাজল টেলিকম থেকে টাকা কালেকশন করে ৯লাখ ৪০ হাজার ৫শ’ টাকা নিয়ে কর্মকর্তা সত্য নারায়ণ মজুমদার ও আবু সাঈদ সবুজ কালো বাজাজ মোটর সাইকেল (যশোর হ-১২-৬২৯৫) নাম্বার যোগে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ষাট বাড়িয়া গ্রামের সদর উদ্দিনের ছেলে বর্তমানে টিএমও মার্কেট এক্সপ্রেস মাহবুবুর রহমান তার বাজাজ প্লাটিনা (যশোর হ-১৫-২১৩২) যোগে যশোর অফিসের উদ্দেশ্যে বিকেল ৪টায় রওয়ানা করে। ৩ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা বেজে ১০ মিনিটে তাদের মোটর সাইকেল দু’টি সড়কের ক্ষিতিবদিয়া রেলক্রসিংয়ের পূর্ব স্প্রীড ব্রেকার সংলগ্নে পৌছালে হঠাৎ ৩ মোটর সাইকেল বাজাজ,প্লাটিনা ও এ্যাপাচি মোটর সাইকেল যোগে ৭ ডাকাত অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে আবু সাঈদ সবুজের কাছে কালো ব্যাগের মধ্যে থাকা ৯লাখ ৪০ হাজার ৫শ’ টাকা নিয়ে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ডাকাতেরা স্ক্রুড্রাইভার দিয়ে আবু সাঈদ সবুজকে আঘাত করে চুড়ামনকাটির দিকে চলে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। থানা পুলিশ তদন্তর নামে গড়িমসি করলে বিকাশ কর্মকর্তা উপায়ন্তর না পেয়ে যশোর আমলী আদালত ক অঞ্চল বরাবর পিটিশন দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক প্রকাশ্যে ডাকাতির ঘটনা এজাহার হিসেবে নথিভূক্ত করতে কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। আদালতে নির্দেশে থানা পুলিশ ডাকাতি মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করে। মামলা রেকর্ড গতকাল ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার কিংবা লুন্ঠিত টাকা উদ্ধার করতে পারেনি।