যশোরে  প্রতিপক্ষের আঘাতে আহত আওয়ামী লীগ   নেতার মৃত্যু

প্রকাশঃ ২০১৭-১২-০৭ - ১৮:৪২

রবিউল ইসলাম মিটু, যশোরঃ যশোরের দলীয় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত আওয়ামী লীগ নেতা সরদার মিলন মারা গেছেন। গতকাল ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিনগত রাতে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় মারা যান। তিনি বসুন্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পদ্মবিলা গ্রামের বাবু সরদারের ছেলে।

গত ৬ নভেম্বর যশোরের দড়াটানায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে হাজী মুহম্মদ মহসিন রোডে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাত এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছিলেন সরদার মিলন। এসময় স্হানিয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর শুনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ হাসপাতালে ছুটে যান।

বসুন্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল আহসান বাবলু জানিয়েছেন, দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মিলনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে তাকে ঢাকা  হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বুধবার দুপুরে তার নামাজে জানাজা শেষে পদ্মবিলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান জানিয়েছেন, বেঁচে থাকাকালে সরদার মিলন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন। এজাহারে  উল্লেখ, ৬ নভেম্বর যশোর শহরের দড়াটানায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ সমাবেশ হয়। ছাত্রলীগ নেতা ইমন হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত ওই সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন মিলন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে পদ্মবিলা ফিরছিলেন। হাজী মুহম্মদ মহসিন রোডের মুখে দাঁড়ানো মাত্র ১০-১৫ জন তাকে তাড়া করে। তিনি ওই রোডের একটু ভেতরে ঢোকামাত্রই পিছু ধাওয়া করে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি  ছুরিকাঘাত এবং কোপ মারে।  পরে তাকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। পরে ডাক্তারের পরামর্শে তাকে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি অজ্ঞাত ১০-১৫ বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করছেন ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান। তিনি বলেন, এই মামলায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি, মামলাটি হয়েছিল মারপিট করে জখম করার অপরাধে। এখন চার্জশিট হবে হত্যা মামলার।