রবিউল ইসলাম মিটু,যশোর : যশোরের রত্মগর্ভা সাজেদা খাতুন মারা গেছেন (৯৭)। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।) মঙ্গলবার বিকেল সোয়া চারটায় যশোর শহরের খড়কীর বাসভবনে তিনি মারা যান। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। সাজেদা খাতুন নয় ছেলের জননী। এর মধ্যে ছয়জন এখনো জীবিত আছেন। তার প্রত্যেক ছেলেই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে দেশবিখ্যাত।
বড় ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক প্রধান ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান কিছুকাল আগে মারা গেছেন। তিনি বাংলা ভাষার সুপণ্ডিত ছাড়াও দেশবিখ্যাত গীতিকার ছিলেন। আরেক ছেলে মোহাম্মদ রফিক-উজ জামান এখনকার শীর্ষ গীতিকবি।
সাজেদা খাতুনের আরেক সন্তান আসাদুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধকালে শহীদ হন। তার নামে যশোর এমএম কলেজে একটি ছাত্রাবাস রয়েছে।
এছাড়া সাজেদা খাতুনের সন্তানদের মধ্যে মোহাম্মদ শফিকউজ্জামান যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সাবেক কৃতী ফুটবলার শফিকউজ্জামান যশোর শিক্ষাবোর্ডের ক্রীড়া অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আরেক ছেলে এনামউজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। অন্য সন্তানরাও স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।
ছেলে শফিকউজ্জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বুধবার বাদজোহর খড়কি পীরবাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে খড়কি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। জানাজায় স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অংশ নিতে পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানিয়েছেন শফিকউজ্জামান।
এদিকে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মো. সামসুজ্জামান, সহ-সভাপতি কাজী রকিবুল ইসলাম, আমির হোসেন মিলন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মুন্না, সহ-সাধারণ সম্পাদক নূরজাহান আরা নীতি, প্রকাশনা সম্পাদক আহমদ রাজু, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আহাদ আলী লস্কার, নির্বাহী সদস্য শেখ ইমামুল কবির, রফিকুল পাশা, আহমেদ মাহাবুব ফারুক, আবুল হাসান তুহিন এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কবি পদ্মনাভ অধিকারী এবং সংগঠনের আজীবন সদস্য রবিউল ইসলাম মিটু।