যশোর অফিস: যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়া ধানক্ষেত থেকে উদ্ধারকৃত শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে জিন বা ভূত মেরে ফেলেছে বলে দাবি করা হয়েছে। নিহত ইয়াসিন হোসেন (৬) ভেকুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র এবং ভেকুটিয়া কারিগরপাড়ার ওয়াসিম হোসেনের ছেলে।
পিতা টাইলস মিস্ত্রি ওয়াসিম হোসেন জানান, ভেকুটিয়া বাজারের পাশে আমার একটি চায়ের দোকান আছে। শুক্রবার বিকেলে ছেলে ইয়াসিন আমার দোকানে আসে। আমি বাজারের অন্য একটি মুদিখানা থেকে তাকে খাবার কিনে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই। কিন্ত সে বাড়িতে যায়নি। তখন থেকে সে নিখোঁজ ছিল।’
‘আমি পরিবারের লোকজন নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও ছেলেকে পাইনি। রাত আটটার কিছু সময় আগে বাজারের পেছনে ধানক্ষেতের মধ্যে কাদায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকা ইয়াসিনের সন্ধান পাই। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
তিনি বলেন, ‘আমার কোনো শত্রু নেই। সেই কারণে আমার মনে হয়, ইয়াসিনকে জিন অথবা ভূত দম আটকে মেরে ফেলেছে।’
কিন্তু পুলিশ ও ডাক্তার এই ‘উদ্ভট’ দাবি মানতে নারাজ। হয়তো শিশুটিকে কেউ শ্বাসরোধ করে মেরে ধানক্ষেতে ফেলে রেখেছে। অথবা ধানক্ষেতের কাদায় নাক-মুখ ঠেঁসে ধরে তাকে খুন করেছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ইয়াসিনকে কাদার মধ্যে উপুড় হয়ে পড়ে থাকাবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে আনার পর দেখা যায়, তার নাক-মুখে কাদা লেগে আছে।
কোতয়ালি থানার এসআই সোবহান শরিফ বলেন, ‘কেউ না কেউ ইয়াসিন নামের শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এর বেশি কিছু বলা যাবে না।’
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার কল্লোলকুমার সাহা জানান, ‘শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে কি না, তা এখনই বলা যাবে না। ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। তার নাক-মুখে কাদা দেখা গেছে। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে শিশুটি মারা গেছে বলে মনে হচ্ছে।’