যশোর নার্সিং ইনষ্টিটিউটের চার ইনস্ট্রাক্টর চরম আতংকে

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-১১ - ২১:০৭

যশোর: যশোর নার্সিং ইনস্টিটিউটে নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলে চার নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর চরম আতংকের মধ্যে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দূর্ণীতি ধামা চাপা দিতে নার্সিং ইনস্টিটিউটে কর্মরত দু’জন নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ও অধ্যায়নরত বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রী সেবিকাদের দফায় দফায় কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ও মোটা অংকের অর্থের মিশন নিয়ে ইনষ্ট্রাক্টর ইনচার্জ রোববার সন্ধ্যায় বিমান যোগে ঢাকায় যাওয়ার কথা রয়েছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছেন।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ভিতরে অবস্থিত নার্সিং ইনস্টিটিউটের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানিয়েছেন,গত ৪ ফেব্রুয়ারী নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি যশোর নার্সিং ইনস্টিটিউটের নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ সেলিনা ইয়ামিনের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম লিখিত ও মৌখিক শুনে ফিরে যান। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন গঠিত তদন্ত কমিটির সভাপতি  নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুয়ারা বেগম, সদস্য নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের (পিএম আই এস) সহকারি পরিচালক শিরিন আক্তার, সদস্য সচিব নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের প্রভাষক মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ। তদন্ত কমিটির সদস্যরা যশোর থেকে যাওয়ার পর নার্সিং ইনস্ট্রাক্টরের ইনচার্জ  সেলিনা ইয়াসমিনের দূর্ণীতির সহযোগী ওই ইনস্টিটিউটের নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর খুকু বিশ্বাস ও বিভূরানী রায় ইনস্টিটিউটে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টিসহ সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টায় তাদের পক্ষীয় ছাত্রী সেবিকাদের নিয়ে আফরোজাসহ প্রতিবাদী চার ইনস্ট্রাক্টরের কক্ষ ঘেরা করে রাখে। এ সময় মারতে উদ্যত হয়। এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারী সেলিনা ইয়াসমিনের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর খ্রীষ্টিনা সুমিত্রা বিশ্বাস,মোছাঃ রোকেয়া খানম,আফরোজা খাতুন ও সরমিন সুলতানা পারভীন কোতয়ালি মডেল থানায় সোমবার বিকেলে হাজির হয়ে সাধারণ ডাইরী করেন। সূত্রগুলো বলেছে,দূর্নীতি ঢাকতে নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিনের অনুসারী নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর খুকু বিশ্বাস ও বিভূরানী রায় ৬ ফেব্রুয়ারী কোতয়ালি মডেল থানায় উক্ত চার ইনস্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে সাধারণ ডাইরী করেন। সূত্রগুলো বলেছেন,৬ ফেব্রুয়ারীর পর থেকে নার্সিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষনার্থীর ছাত্রী সেবিকাদের মধ্যে যারা ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জের পক্ষীরা তাদের দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেয়। দফায় দফায় স্বাক্ষর গ্রহন করেন নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন। সূত্রগুলো আরো জানিয়েছেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারী উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত টিম তদন্ত করে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার পর নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন নিজের অপকর্ম ঢাকতে বিভিন্ন মহলে দেন দরবার  শুরু করে। গত রোববার ১১ ফেব্রুয়ারী মোটা অংকের অর্থের মিশন নিয়ে বিমান যোগে ঢাকায় যাওয়ার কথা রয়েছে। সূত্রগুলো দাবি করেছেন,নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পুরাটা ধামা দিতে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করায় চরম শংকিত হয়ে পড়েছেন প্রতিবাদী চার ইনস্ট্রাক্টরগন। তারা আশংকা প্রকাশ করে বলে জানিয়েছেন,ঢাকায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রকৃত অপরাধ ঢামা চাপা পড়ে  গেলে হয়তোবা প্রতিবাদি চার ইনস্ট্রাক্টরকে দেশের অন্য জেলায় বদলী হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ স্বাস্থ্য মহা-পরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন প্রতিবাদী চার নার্সিং ইনস্ট্রাক্টরগন।