যশোর বন্দিদের জিম্মি করে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ ফাঁস !

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-১৯ - ২১:০৩

যশোর: যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার সৈয়দ হাসানের বিরুদ্ধে কয়েদী আসামীদের কাছে উৎকোচ না পেয়ে তাদেরকে সেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বন্দি কয়েদী ও হাজতি আসামীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

কারাগার সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছেন, কারাগারে কর্মরত ডেপুটি জেলার সৈয়দ হাসান আলীর বিরুদ্ধে বন্দি কয়েদী ও হাজতি আসামীদের জিম্মি করে তাদের আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায়ের খবর ফাঁস হয়েছে। সম্প্রতি যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামী ম্যাট দায়িত্বে থাকা চুয়াডাঙ্গা জেলার বাসিন্দা রিংকু ও যশোরের কাবলু মুন্সীর দখল হতে দু’টি মোবাইল উদ্ধার দেখিয়ে তাদেরকে কাছে মোটা অংকের অর্থ দাবি করে। তারা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ডেপুটি জেলার সৈয়দ হাসান আলী কারাগারে ১-৮ সেলের ৩নং কক্ষে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। বর্তমানে সেলের ৩ নং কক্ষে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামী রিংকু ও কাবলু মুন্সী পায়ে ডান্ডাবেরী পরিহিত অবস্থায় প্রহর গুনছে। বর্তমানে কারাগারের ভিতরে বন্দি কয়েদী ও হাজতী আসামীদের কাছ থেকে ডেপুটি জেলার সৈয়দ হাসান আলী অনৈতি সুবিধার জন্য নানা কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্রগুলো আরো জানান,গত ২৯ জানুয়ারী সন্ধ্যায়  উক্ত ডেপুটি জেলারসহ কারাগারে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা ও সদস্যরা মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী খুলনা দৌলতপুরের এক সময়ের বাহিনী প্রধান শাহাদৎ হোসেন ওরফে লিটনের কক্ষে অভিযান চালিয়ে ল্যাপটপ,অশ্লীল ছবি সম্বলিত মেমোরিকার্ড,মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করে। উক্ত মালামাল উদ্ধারের ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষের নজর এগিড়ে সৈয়দ আবু হাসানসহ তার সহযোগীরা সুবিধা নিয়েছে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী লিটনের পবিারের কাছ থেকে। তাছাড়া,উক্ত ডেপুটি জেলার সৈয়দ হাসান আলীর বিরুদ্ধে যশোর শহরের ষষ্টিতলা পাড়ার আরিফ আহমেদ সুমন ওরফে পাঠা সুমনের জামিন আটকে দিয়ে পুলিশে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ৭ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগসহ নানা অভিযোগ উঠে। বর্তমানে ডেপুটি জেলার সৈয়দ হাসান আলী কারাগারে বন্দি কয়েদী ও হাজতী আসামীদের জিম্মি করে তার আত্মীয়স্বজনদো কাছ থেকে প্রতিমাসে লাখ টাকা উপার্জনের মিশন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ডেপুটি জেলার সৈয়দ হাসান আলীর এহেন কর্মকান্ডে কারাগারে বন্দি হাজতী ও কয়েদী আসামীদের পাশাপাশি কারাগারে কর্মরত কর্মকর্তা ও  সদস্যরা জেনেও বদলী হওয়ার ভয়ে নিশ্চুপ থাকে। তার কারণ উক্ত ডেপুটি জেলার হাসান আলীর খুঁটির জোর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কারাগারে কর্মরত কর্মকর্তা ও সদস্যরা। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকসহ কারা মহা পরিদর্শকের  হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা।