অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : একটি সাংবাদিক দল বাঘারপাড়া উপজেলার ২নং বন্দবিলা ইউনিয়নের প্রেমচারা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় জ্বালাও-পোড়াও তান্ডবস্থল সরেজমিনে পরিদর্শণ করলে ঘটনার অন্তরালের মূল বিষয়টি সামনে এসে পড়ে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, একটি রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে গত জানুয়ারি মাসে প্রেমচারা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় মারপিট, হামলা-ভাংচুর ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনা ঘটে। মূল ঘটনাটিকে এড়িয়ে উদরপিন্ডি বুঁদোর ঘাড়ে চাঁপানোর চেষ্টা করেছে রাজাকার আমজাদ মোল্যার ভাগিনা এহিয়া নামের এক নব্য আ’লীগার। এছাড়াও রাজাকার আমজাদ মোল্যার বিরুদ্ধে মামলার বাদী হয়েছেন খোদ আমজাদ মোল্যার নিকট আত্মিয় রোস্তম মোল্যা। আর এই রোস্তম মোল্যা এবং রাজাকার আমজাদ মোল্যাকে বাঁচাতে স্বাক্ষী হয়েছেন তাদের অপর এক আত্মিয় এহিয়া, যিনি ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে ছিলেন একজন ৬ বছরের শিশু।
এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে তারা জানায়, প্রেমচারা গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী দক্ষিন পাড়ার একটি রাস্তা পাঁকা করণের। সেই দাবীর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি পাঁকা করণের কাজ শুরু করে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ওই রাস্তা নির্মাণের জন্য বেডের মাটি কাটা কাজ শুরু হলে স্থানীয় বন্ধবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সবদুলের একান্ত সহযোগি জামায়াত কর্মী শহিদুল, সিদ্দিক, আরমান, টিক্কা, মারুফ, মাজেদ, রোস্তম মোল্যা ও এহিয়া এলাকার মানুষকে জানায় কাজটি চেয়ারম্যান সবদুলের প্রচেষ্টায় শুরু হয়েছে। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রেমচারা দক্ষিণ চাঁনপুর ২নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আলম মোল্যার আত্মিয় মতিয়ার রহমানের ছেলে জুলফিকার আলী প্রতিবাদ করে বলেন এমপি রণজিত রায় এর অবদানেই এই রাস্তার কাজটি শুরু হয়েছে। এ কথা শুনে উপস্থিত টিক্কার নেতৃত্বে জুলফিকার আলীকে মারতে উদ্ধত হলে সে প্রাণ ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যায়। এ ঘটনার আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে নব্য আ’লীগার এহিয়া ও রোস্তম মোল্যার নের্তৃত্বে একদল বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জুলফিকারের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এ হামলায় জুলফিকারের পিতা মতিয়ার তার চাচা ইউপি সদস্য এবং ওই ওয়ার্ডের আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলম মোল্যার বাড়িসহ তাদের পরিবারের সকল বসত ভিটায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে। এসময় ৬৫ বছরের বৃদ্ধা হালিমা বেগম তাদের রাম দায়ের কোপে মারাত্মক জখম হয়। মেম্বরের পরিবারের চারটি বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব ঘটিয়ে ঘরের টিনের চাল, দরজা-জানালা, আসবাবপত্র ও হাড়ি-পাতিল ভাংচুর করে, মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে প্রায় ৪ লাখ টাকার বিছালীর গাদায় অগ্নি সংযোগ করে। এ সময় প্রাণ ভয়ে চারটি পরিবারের সকল মানুষ দৌড়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়। ঘটনার পেছনের ঘটনাকে আড়াল করে আমজাদ রাজাকারের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ অপরাধি মামলা চলমান রয়েছে সেই মামলার স্বাক্ষী ৭১ সালের শিশু এহিয়া ও ওই মামলার বাদী রোস্তম মোল্যার অসৎ উদ্দেশ্যে ও রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা লোটার ঘটনা বেরিয়ে আসে। চলবে…