গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার সাঘাটায় আধুনিক পদ্ধতিতে বায়োফ্লোকে ফিশারিজ ফার্ম করে। করোনা সংকটেও সফলতা পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য আহসান হাবীব সুজা ।
জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী ইউনিয়নের আব্দুল্ল্যাহ পাড়া গ্রামে, অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য আহসান হাবীব সুজা। বিগত সময়ে কোয়েল পাখির খামারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে, ভিয়েতনাম দেশ থেকে মাছ চাষের উপর উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর গত ২০১৮ সালে আড়াই বিঘা জমির উপর ভিয়েতনাম বিডি ফিশারিজ ফার্ম প্রকল্প গড়ে তোলেন। মাটিতে পুকুর খনন না করেই, আধুনিক পদ্ধতিতে সমতল মাটিতে ৫৩ টি হাউজ বসিয়ে, ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে করেন। এতে প্রায় ৮ লক্ষ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির শিং, পাবদা,টেংরা পোনা মাছ ছেড়ে চাষাবাদ শুরু করেন। এ পদ্ধতিতে তিন মাস পর পর মাছ বিক্রি থেকে, প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আয় হয়। এই সফলতার বিষয়টি অত্র এলাকায় জানা জানি হলে, বেকার যুবকরা তার কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে, দেশের ২০ জেলায় এ ধরনের ফিশারিজ ফার্ম গড়ে তুলেছেন বলে জানা যায়। বাংলাদেশের মধ্যে সাঘাটায় বৃহত্তর এ ফার্ম দেখা শুনার জন্য ১০ জন কর্মচারী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছেন। মাছ চাষী,আহসান হাবিব সুজা বলেন, বর্তমানে করোনা সংকটে সকল ব্যবসা প্রায় বন্ধ, কিন্তু আমরা মাছ চাষিরা থেমে নেই। এই শত করোনায় মাছ মানুষ খাচ্ছে,‘মাছে ভাতে বাঙালি‘। আমাদের মাছ সেল হচ্ছে, হয়তোবা যে মাছগুলো বিদেশে যাচ্ছিল, তার তুলনায় একটুু পয়সা কম পাচ্ছি। কিন্তু আমরা সফল এবং আমি দেশে অর্ধেক জায়গায় প্রজেক্ট তৈরি করে দিয়েছি। আমার কাছে ট্রেনিং করে বায়োফ্লোক করছে তারাও সফলতা পেয়েছে।